আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ৮ মার্চ: শিক্ষকের মারে বুকে গুরুতর আঘাত পেল ছাত্র। ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারায় দশম শ্রেণির ছাত্র। অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ছাত্রকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার গাড়াপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ে। আহত ছাত্রের নাম দুর্জয় পাইক। অভিযোগ, দুর্জয় একটি কলম ক্লাস রুমের বাইরে ফেলতে গিয়ে শিক্ষক পঙ্কজ কুমার ব্যাপারীর গায়ে লাগে। এই অপরাধে দুর্জয়ের বুকে পিঠে ঘুসি মারে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছে, বুকে আঘাত লাগায় সে জ্ঞান হারিয়েছিল। চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার চতুর্থ পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে ক্লাস রুমে বসে দুর্জয় লিখছিল। সেই সময় তাঁর কলমের কালি ফুরিয়ে যায়। কলমটি দরজার বাইরে একটি ডাসবিনে ছুড়ে ফেলতে গেলে ঠিক সেই মসয় শিক্ষক পঙ্কজবাবু ক্লাস রুমে ঢুকতে গেলে তাঁর গায়ে লাগে। এই অপরাধে প্রথমে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে কানচলে এলোপাথাড়ি চর মারে। তাতেও রাগ মেটেনি ওই শিক্ষকের। বেঞ্চ থেকে বের করে এনে বুকে পেটে ঘুশি মারে বলে অভিযোগ। এরপর ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় ওই ছাত্র। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষকরা ছুটে এসে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে অনেক চেষ্টায় তাঁর জ্ঞান ফেরায়। অবস্থার অবনতি দেখে শিক্ষকরা তাঁর বাড়িতে খবর দেয়। তাঁর বাবা দেবাশীস পাইক এসে দুর্জয়কে বনগাঁ হাসপাতলে ভর্তি করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে দুর্জয়ের বাবা দেবাশীষ পাইক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি বলেন, “ছেলে যদি কোনও ভুল করে থাকে, ওকে বকাবকি করতে পারত। কিন্তু যে ভাবে ওকে মারা হয়েছে, তাতে তাঁর মৃত্যু ঘটতে পারত। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে দেখছে বনগাঁ থানার পুলিশ l