আমাদের ভারত, কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারি: বুধবার দুপুরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে
কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রতিবাদ জানালো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদ। তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
দলের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ বলেন, “মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারতবর্ষে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি স্থাপন করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল যেখানে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতবর্ষ ১০১ নম্বর স্থানে এবং যে দেশে সাধারণ মানুষের খাবার জোটে না সেই দেশে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির স্বপ্ন কিভাবে দেখায় এ সরকার?
সৌরভ বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে আগামী ৫ বছরে ৬০ লক্ষ কর্মসংস্থান দেবেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বছরে ২ কোটি চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আট বছরে ১৬ কোটি চাকরি আর ৫ বছরে ৬০ লক্ষ চাকরির ভাওতা। এরই প্রতিবাদে রাজ্য ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।
এই বাজেটকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ বলে, শিক্ষা বাজেটে ছাত্রছাত্রীদের স্বস্তি দেওয়ার পরিবর্তে সংবাদের শিরোনাম আর বক্তৃতা পাওয়া গেছে।
সৌরভ প্রসাদ বলেন, সরকার শিল্পপতিদের কর ছাড় দেওয়ার কথা মনে রেখেছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের ফি’তে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। সরকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দিকে তাকাতে একেবারেই ভুলে গেছে। তার প্রশ্ন কিভাবে বৃত্তি ও ফেলোশিপ সময়মতো পাওয়া যাবে, গত দু’বছর ধরে সরকার ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে অর্থ বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি।
সৌরভ বলেন, বাজেট জুড়ে ডিজিটাল শব্দটি বহুবার ব্যবহার করা হলেও স্কুল-কলেজে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ কীভাবে দেওয়া হবে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। এমনকি শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্টফোন দেওয়ার পরিকল্পনা কেন করা হয়নি? তারও ব্যাখ্যা করতে পারছে না সরকার।
তিনি জানান যে, সাধারণ শ্রেণির ছাত্রদের ইন্টারনেট সুবিধা নেই, সরকার কীভাবে তাদের কাছে ই-কন্টেন্ট পৌঁছে দেবে? যারা ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন, গত ৩ বছর ধরে প্লেসমেন্টের জন্য বসে আছেন, যিনি চাকরি পাননি, এমন পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে তার ইএমআই পূরণ করবেন! তাকে স্বস্তি দেওয়ার বিষয়ে বাজেটে কিছুই বলা হয়নি। ছাত্র পরিষদ দাবি করেছে যে, এই ধরনের ছাত্রদের বিগত ৩ বছরের ঋণ মকুব করা হোক। তাই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ কলেজ স্ট্রিট মোড় থেকে মিছিল করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র পরিষদ বিক্ষোভ দেখায়।