“গোষ্ঠী কোন্দল থামিয়ে চুপ থাকুন, না হলে মিউজিক শোনানো হবে,” কেশপুরে অভিষেকের জনসভার আগে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২০ জানুয়ারি: কেশপুরের আনন্দপুর বিদ্যালয় মাঠে অভিষেকের সমাবেশের স্থান প্রস্তুত করা হচ্ছে। তৃণমূলের পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে এই সমাবেশে উপস্থিত করার পরিকল্পনা করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এই মুহূর্তে কেশপুর ও আনন্দপুর চরম গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, গোষ্ঠী কোন্দল থামিয়ে চুপ থাকুন, দলের নিয়ম ভেঙে বাইরে কথা বললে মিউজিক বাজানো হবে তার জন্য।

গত দু মাসে বহুবার বোমাবাজি, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ২ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করতে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে। সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত কর্মীদের নিয়ে এক প্রস্থ বৈঠক করার পর, কেশপুর ব্লকের সমস্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে আরেকবার বৈঠক করতে হয়েছে এদিনই। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যে মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, ছিলেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা, তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি সহ জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব।

তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, “বৈঠক করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হবে। বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পাঠাক আর যাই চক্রান্ত করুক তৃণমূলের কর্মসূচিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে সম্প্রতি কেশপুর নিয়ে সংবাদ শিরোনামে বারবার আসছিল, সেটা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাইকে চুপ থাকতে বলা হয়েছে। না হলে দলের নিয়ম ভেঙ্গে বাইরে কথা বললে মিউজিক বাজানো হবে তার জন্য।”

অনেকে মনে করছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত কেশপুরে অভিষেক ব্যানার্জির উপস্থিতি দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে শিউলি সাহা বলেন, “কেশপুর আসলে আন্দোলনের স্থান, জেলার মধ্যে কেশপুর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তাই কেশপুরকে এই সমাবেশের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *