দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর ছোঁড়ার ঘটনা বীরভূমে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ সুকান্তর

আমাদের ভারত, ২৬ অক্টোবর: বীরভূমের মুরারইয়ের আমডোল গ্রামে দেবী দুর্গার বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা বের হলে সেই শোভাযাত্রাকে লক্ষ্য করে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ পাথর ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ উঠল। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ চেষ্টা করেও এই ঘটনা আটকাতে পারেনি। এই ঘটনাকে তোষণের রাজনীতি বলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই দুর্গাপুজোর বিসর্জনে উত্তেজনা ছড়ালো বীরভূমের মুরারইয়ের আমডোল গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসকে এই ঘটনা নিয়ে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই গ্রামে দেবী দুর্গার বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা বের হলে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা সেই শোভাযাত্রাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। সেখানে সেই সময় পুলিশ ছিল। চেষ্টা করেও সেই সময় পাথর ছোঁড়া আটকাতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সুকান্ত।

This is how the appeasement politics of WB TMC is stone pelting on the faith and rituals of Bengali Hindus. Secularism means tolerance and mutual respect for every faith and not appeasement. But this idea is foreign to the vote-bank politics perpetuated by @AITCofficial

– *Dr. Sukanta Majumdar,* State President

সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে সুকান্ত লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এভাবেই তোষণের রাজনীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর ফলে বাঙালি হিন্দুদের আস্থা ও রীতির ওপর পাথর ছোড়া হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ, সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা। কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে ডুবে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এই বিষয়টি একেবারেই অজানা।

সুকান্ত যে ভিডিওটি পোস্ট করেছে তাতে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মুসলিম ব্যক্তিরা হিন্দুদের দেবী দুর্গার শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে, প্রতিমা লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে। পুলিশ সেখানে চেষ্টা করেও হামলা থামাতে পারছে না। প্রতিবছর এই এলাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ করতে শোনা গেছে ওই ব্যক্তিকে। তার অভিযোগ, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষদের ওপর নাকি এভাবেই চড়াও হয় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ।

আবার ভিডিও’র দ্বিতীয় অংশে দেখা যায় একটি সংকীর্ণ গলিতে প্রচুর মানুষ পাথর ছুঁড়ছে।পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে।

এর আগে মার্চ মাসে রামনবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্যের একাধিক জায়গা। হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছিল। পরে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে নতুন করে হিংসা যাতে না ছড়ায় তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। রামনবমী হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়েছিল। এবার দুর্গাপূজা নিয়েও অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ উঠল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *