সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ২১ জানুয়ারি: মাদক পাচার রুখতে গিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। প্রায় ২৬ কেজি নিষিদ্ধ মাদক সহ উত্তরপ্রদেশ ও মণিপুরের মাদক চক্রের দুই অন্যতম পাণ্ডাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হল। পুলিশের বড় বড় কর্তারাও বহু দিন এই বিপুল পরিমানের মাদক চাক্ষুষ করেননি বলে দাবি করেছেন। আর এই মাদকের দামও তো সামান্য নয়, ১০০ থেকে ১০৫ কোটিরও বেশি। সাম্প্রতিককালে এটাই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সব থেকে বড় সাফল্য বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এসটিএফের ডেপুটি কমিশনার প্রদীপ যাদব জানিয়েছেন, শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেও একসঙ্গে এত পরিমান মাদক উদ্ধার হয়নি।
এসটিএফ সূত্রে খবর, দুদিন আগেই গোয়েন্দাদের কাছে গোপনসূত্রে খবর আসে, শহরে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক হাত বদল হতে পারে রাতের অন্ধকারে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড সোমবার রাতে উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ায় নজরদারি শুরু করে। সোমবার গভীর রাতে উত্তর কলকাতার টালা থানার পাইকপাড়া এলাকা থেকে জুবের ও মওলানা ফৈয়াজউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ওই মাদক উদ্ধার করা হয়। ধৃত দু’জন যথাক্রমে উত্তরপ্রদেশ ও মণিপুরের বাসিন্দা বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ পাইকপাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দিয়ে হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলে এসটিএফ বাহিনী। সুত্রের মারফত জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের জুবের উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা আর বছর পঞ্চাশের মৌলানা ফয়াজউদ্দিন মণিপুরের বাসিন্দা। এরা কোনও ভাবে এই বিশাল পরিমান মাদক জোগাড় করে তা কলকাতায় নিয়ে এসেছিল কলকাতায় বিক্রি করার জন্য। উদ্ধার হয় ২৫ কেজি ২৫৫ গ্রাম হেরোইন, যার বাজারমূল্য ১০৫ কোটি টাকা। এরপরেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের কাছে খবর গিয়েছিল, জুবের আর ফয়াজউদ্দিন কলকাতায় এসে ছদ্মবেশে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ওই মাদক বিক্রি করার জন্য। একজন নিয়েছিল হকারের কাজ, অন্যজন শাল বিক্রতা। কার্যত এই দুই কাজে নেমে তাঁরা গ্রাহক খুঁজত। কলকাতা পুলিশ এদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা দায়ের করেছে।