স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৬ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তার বালি চুরির অভিযোগ উঠল স্থানীয় অঞ্চল কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। মানুষ জানতে পেরে বিক্ষোভ দেখায় এবং বালি নিয়ে যেতে গেলে আটকে দেয়। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বছর খানেক হল প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় সাধন পাড়া থেকে বামনপাড়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরির জন্য এক কন্ট্রাক্টর রাস্তা তৈরির বরাত পেয়েছিলেন। বরাত পাওয়ার পর রাস্তা তৈরির জন্য কিছু ইঁট, বালি ও খোয়া ফেলা হয়। অভিযোগ, সেই সময় তখনকার স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ঐ কনট্রাক্টরকে চাপ দেয় তোলাবাজির টাকা আদায়ের জন্য। তখন কন্ট্রাক্টর সাময়িকভাবে ওখান থেকে কাজ বন্ধ করে চলে যায়। স্থানীয় মানুষের দাবি, সেই সময় থেকেই প্রায় ৮ থেকে ১০ গাড়ি বালি ওখানে পড়ে আছে। কোনও কোনও জায়গায় কিছু আধলা ইঁট ও সাদা বালি ফেলা আছে। প্রায় এক বছর ধরে এভাবেই রাস্তা তৈরির জন্য ইঁট বালি এখানে পড়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও দাবি, তারা এসডিও এবং বিডিওকে এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এমনকি ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে। বর্তমানে লকডাউনের কারণে মানুষ এই ব্যাপারে স্থানীয় মানুষরা কোনো তদারকি করছেন না। অভিযোগ, আজ সকালে এখানেই পাঁচ ট্রাক্টর নিয়ে এসে পৌঁছায় তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল কমিটির সভাপতি আবু শাহিন মন্ডল। প্রকাশ্য দিবালোকে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তার বালি চুরির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। প্রথমে কয়েক গাড়ি বালি নিয়ে যেতে পারলেও পরে মানুষ জানতে পেরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। তাকে বালি নিয়ে যেতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এরপর ধুবুলিয়া থানার ওসির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আবু সাহিদ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই ঘটনা সত্য নয়, এটা তৈরি করে মিথ্যে কথা বলছে। বামনগাছিতে আমার একটা পুকুর লিজ নেওয়া আছে।