আমাদের ভারত, ১ সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কোনো প্রমাণ পেলে বুলডোজার দিয়ে তা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাটক করছেন। যে রাজ্য পুলিশ আল কায়েদা জঙ্গি খুঁজে পায় না তারা কি করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করবে?
সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই সমস্ত বিষয়ে আদালতে গিয়েছে আদালতে তার বিচার হবে তারপর বোঝা যাবে কে ঠিক আর কে ভুল। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করে কি করে বার করবে? এখানে আল-কায়েদার জঙ্গিরা এসে বসে থাকলে খুঁজে পায় না তারা, আর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে সমস্ত কিছু খুঁজে বার করবে সেটা সম্ভব নয়।”
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যেও কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “কেনই বা নিজের নামে সম্পত্তি রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী? তিনি তো সিজিনড পলিটিশিয়ান। কিভাবে রাখতে হয় কার মাধ্যমে করতে হয় তিনি সেটা জানেন।” সুকান্তের কথায়, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সাহস নেই মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করার।”
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপরাধী অভিযুক্ত করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রভাব খাটিয়ে নিজের পরিবারের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে তিনিও সমান অপরাধী। তাঁর কথায়,
“আমি নিজের নামে কিছু রাখিনি কিন্তু আমাদের পরিবারের লোককে পাঁচ কোটি টাকার জমি এক কোটি টাকায় বিক্রি করতে ইনফ্লুয়েন্স খাটিয়ে বাধ্য করেছি। এটাও ক্রাইম। এটাও অপরাধ। যারা এটা করেন
তাদেরকেও চোর বলে।”
গতকাল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, ” টিভি চ্যানেল গুলি নাকি দেখাচ্ছে আমাদের লোকেদের জমি জায়গা বেড়েছে। আদালতে একটি মামলা হয়েছে। তবে আমি পরিষ্কার থাকতে চাই। তাই মুখ্যসচিবকে তদন্ত করতে বলেছি। সত্যি প্রমাণিত হলে আমার অনুমতি ছাড়াই বুলডোজার দিয়ে সবগুলি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে বলেছি।” তিনি আরো জানান, পরিকাঠামো ও চাকরি নিয়ে ক্যাবিনেটের স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং হয়েছিল সেই মিটিংয়ে এই মুখ্যসচিব সহ অন্যান্য সচিব ছিলেন। সেই বৈঠকেই মুখ্যসচিবকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।