আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৮ অক্টোবর: “রাজ্যের পুলিশ আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিরদাঁড়া নেই, তাই তারা ভয় পাচ্ছে।” ব্যারাকপুরে পুজোর উদ্বোধন করতে এসে পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষায় কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার বিজেপির নোয়াপাড়া-৪ মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আসেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির দাবি, অনেক টালবাহানার পর পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই পুজোটি করার অনুমতি পেয়েছে বিজেপি। সেই পুজোর উদ্বোধনী মঞ্চে উঠে এই পুজো সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই বছরের পুজোটা অন্যরকম। আর জি করের ঘটনার জন্য সকলের মন ভার রয়েছে। তবে এই ঘটনার জন্য রাজ্যের পঁচা গলা সিস্টেমটাকে দায়ী করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের এই সিস্টেমের মধ্যে ডোন্ট কেয়ার ভাব এসে গেছে, তাই কোনো কিছুতেই তাদের ফারাক পড়ছে না। সেই কারণেই এই পুজোটা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে।”
এদিন পুলিশ প্রশাসন ও মুখ্য মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন এখন শিরদাঁড়া দেখলেই ভয় পাচ্ছে, কারণ পুলিশ প্রশাসন আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের কারোর শিরদাঁড়া নেই। কিন্তু আমরা রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শিরদাঁড়া খাড়া করে দেখাবো।”
অপর দিকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে এখনো রাস্তায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনো বহু মানুষ বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। সেই দাবিতে মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। অথচ কলকাতা পুলিশ সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মিছিলের অনুমতি পেতে কোর্টে যেতে হবে। কোর্টে গিয়ে কানমুলে অনুমতি আদায় করতে হবে। তাঁর দাবি, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ছাত্র, বেকার যুবকরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে নেমে হীরক রানীকে আসন থেকে টেনে নামাবে বলে তিনি এদিন দাবি করেন।পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকেও তিনি আক্রমণ করেন। বাঁশের সাথে তুলনা করেন এবং মেরুদণ্ডহীন বলে কটাক্ষ করে বলেন, “পুলিশ এখন নিজের বেঁকে যাওয়া মেরুদন্ড টেবিলের নিচে খুঁজছে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন নিষ্ঠুর মানুষ। বাঁশের ঝার যেমন তার বাঁশ তো তেমন হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় পুলিশ যত রকম পারছে সব নোংরামি করে চলছে।”
এদিন সিবিআই- এর চার্জশিট দেওয়ার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তথ্য প্রমাণ লোপাট করে দিলে সিবিআই কেনো, এফ বি আই তদন্ত করলেও অপরাধীদের ধরা সম্ভব নয়। আর তিলোত্তমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তাই তথ্য প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।”
এদিন পুজোর উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং, ব্যারাকপুর জেলা সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক উত্তম অধিকারী, বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী, প্রিয়াঙ্গু পান্ডে প্রমুখ। এদিন পুজো উপলক্ষে অসহায় মহিলাদের শাড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে।