রাজ্য আইসিইউ’তে চলে গেছে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা: সুকান্ত মজুমদার

জয় লাহা, দুর্গাপুর, ২৯ অক্টোবর: ‘কেন্দ্রের দেওয়া ভিক্ষায় বেঁচে আছে রাজ্য, আইসিইউ’তে চলে গেছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা।’ শনিবার দুর্গাপুরে বিধায়ক কাপ খেলার অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যকে এভাবেই খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে অনুব্রত মন্ডলকে পচা আলু বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।

উল্লেখ্য, রাজ্যে কড়া নাড়ছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নতুন করে কোমর বাঁধছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছিল গেরুয়া বিগ্রেড। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার পর  দলীয় বহু কর্মী ঘর ছাড়া ছিল। মনোবল ভেঙে গিয়েছিল বিজেপি শিবিরের। বর্তমানে রাজ্যেজুড়ে কয়লা, গরু পাচার ও টেট কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। শাসক দলের অনুব্রত মন্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাবড় নেতা মন্ত্রীরা শ্রী ঘরে যেতেই গেরুয়া শিবিরে কিছুটা হলেও অক্সিজেন জুগিয়েছে। ইতিমধ্যে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে ও সংগঠনকে মজবুত করতে জেলায় জেলায় নিয়মিত কর্মসূচিতে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। শনিবার দুর্গাপুরে বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের উদ্যোগে ছিল বিধায়ক কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। এদিন ওই খেলার অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্যের শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমন করেন। টেট কেলেঙ্কারির তদন্তে নতুন সুত্র উঠে আসা ও মাণিক ভট্টাচার্যের মুখ খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেটা দেখছেন টেট কেলেঙ্কারির চক্রের বাইরের দিক। চক্রের কেন্দ্র বিন্দুতে পৌঁছালে আরও বড় মাথা উঠে আসবে। মাণিকবাবু মুখ খুলতে শুরু করেছে। ধৈর্য্য ধরুন, আরও অনেক বড় বড় মাথা বেরিয়ে আসবে। তখন বড় বড় উইকেট পড়বে।”

রাজ্যে বোমা বিষ্ফোরণ ও অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্র দেশের সব রাজ্যে এনআইএ’র দফতর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরাজ্যে যেভাবে বোমা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়, তাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি জেলায় এনআইএ’র দফতর করা দরকার।” প্রসঙ্গত, শনিবার আসানসোল আদালতে অনুব্রতর মন্ডলের মামলার শুনানি ছিল। তাঁর আইনজীবী বলে ফেলেন, শিবির বদল করলে অনুব্রত মন্ডলের জামিন হতে পারে। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, “পচা আলু। বিজেপিতে জায়গা হবে না। ওইরকম পচা আলু তৃণমূলেই মানায়।” রাজ্যের অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রসঙ্গে রাজ্যকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের দেওয়া ভিক্ষায় বেঁচে আছে রাজ্য। আইসিইউতে চলে গেছে। মাইনে বন্ধ হওয়া সময়ের অপেক্ষা। রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *