চাপে রাজ্য সরকার! শিল্প সম্মেলনে খরচ কত? অর্থসচিবের কাছে হিসেব তলব রাজ্যপালের

রাজেন রায়, কলকাতা, ২ আগস্ট: পুলিশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রেশনের মত একাধিক ইস্যুতেই রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত প্রত্যক্ষ করেছে রাজ্যবাসী। এবার সেই তালিকায় রাজ্যের অর্থ দফতরকে সংযোজন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। প্রত্যেক বছর বেঙ্গল বিজনেস সামিট তথা শিল্প সম্মেলনে কত খরচ হয়, এ পর্যন্ত কত টাকা খরচ হয়েছে তার বিস্তারিত হিসেব চাইলেন অর্থ দফতরের কাছে।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1289548607771697154?s=19

রাজ্যপাল তাঁর ট্যুইটে দাবি করেন, “মনে করা হচ্ছে, এই সম্মেলন থেকে যা লগ্নি এসেছে তার চেয়ে সম্মেলন করতে খরচ বেশি হয়ে গিয়েছে। আর্থিক অনিয়ম এবং বিশেষ কাউকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও জানতে চাওয়া হয়েছে।’

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1289548853369135105?s=19

এরপরই অর্থসচিবের কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন জানতে চেয়েছেন তিনি। তার প্রশ্ন,
১) ২০১৬ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতি বছর কত টাকা খরচ হয়েছে?
২) কোন কোন সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা খরচ হয়েছে?

৩) সংস্থাটি কি সরাসরি টাকা পেয়েছে নাকি ফিকি-র মাধ্যমে পেয়েছে?

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1289549018989621248?s=19

৪) প্রতি বছর কতগুলি মউ সই হয়েছে, লগ্নি ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে?

৫) প্রতি বছর আসলে কত বিনিয়োগ এসেছে, ক’জন কাজ পেয়েছেন?

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর থেকে রাজারহাটের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে শিল্প সম্মেলন বেশ জাঁকজমক করেই হয়েছে। আর সেখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতিও এসেছে। কিন্তু সামিট মিটে গেলেও কোথায় এই বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি হয় তার খবর কেউ পান না বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী গত কয়েক বছরে যত বিজনেস সামিট করেছেন, সেগুলি সত্যি হলে রাজ্যের আর্থ সামাজিক চিত্র পালটে যেত। পেটের তাগিদে ভিন রাজ্যে ছুটে যাওয়া রাজ্যের হাজার হাজার ছেলে মেয়েদের চাকরি হত। নিজেদের কিছু সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা ও বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে কয়েক দিন ধরে খাওয়াদাওয়া করে ফুর্তি করা ছাড়া ওই সম্মেলনের আর কোনও গুরুত্ব নেই। যার ফলে আজও এই রাজ্যে শিল্প ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তবে এই মুহূর্তে টানা ৫ দিন নবান্ন বন্ধ থাকবে। শনিবার ইদ, রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত নবান্নে স্যানিটাইজেশনের জন্য বন্ধ রাখা হবে। সেই কারণে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বা
অর্থমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *