পুরুলিয়ার বঙ্গভুক্তিতে ভাষা সেনানিদের মর্যাদার দাবি রাজ্য সরকারের কাছে

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১ নভেম্বর: সরকারি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরুলিয়া জেলার জন্ম ও বঙ্গভুক্তি দিবস পালন করল লোক সেবক সংঘ। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভার্চুয়াল আলোচনা চক্রের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরুলিয়ার জন্মদিন পালিত হল আজ।

আজ বঙ্গভুক্তির ৬৫ বর্ষে পদার্পন করল পুরুলিয়া জেলা। দিনটি সরকারিভাবে পালিত না হলেও এই অন্তর্ভুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা লোকসেবক সংঘ ভাষা সেনানিদের সন্মান জানিয়ে দিনটি উদযাপন করল। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার ষোলোটি থানা নিয়ে পৃথক পুরুলিয়া জেলা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। এদিন সেই ইতিহাসকে মনে রেখে পুরুলিয়া জেলার জন্মদিন পালন করে লোকসেবক সংঘ। পুরুলিয়ার ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎদের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও লোক সেবক সংঘের তরফ থেকে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল আয়োজিত হয়। পরে পোস্ট অফিস মোড়ে একটি সভা আয়োজিত হয়। শোভা যাত্রায় জেলার সংস্কৃতি ছৌ নাচ ও অন্যান্য নিত্য পরিবেশন উপস্থাপন করেন স্থানীয় শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

অন্যদিকে, পুঞ্চা ব্লকের লাখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে  ঐতিহাসিক পাকবিড়রা গ্রামে জাঁকজমক করে উদযাপিত হল। ১৯৫৬ সালের ২০ এপ্রিল পাকবিড়রা থেকে বঙ্গভুক্তি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সামিল হয়ে এক হাজার পাঁচ জন পায়ে হেঁটে কলকাতা পর্যন্ত পদযাত্রা করেছিলেন।কলকাতায় পৌঁছান ৬ মে।  ঐতিহাসিক আন্দোলন ভূমি পাকবিড়রাতে প্রচুর মানুষ জন্মদিবস উদযাপনে অংশ নিলেন এদিন।

লোক সেবক সংঘের সচিব সুশীল মাহাতো এদিন বলেন, “ভাষা সেনানীদের মর্যাদার দাবি জানিয়ে আসছি সরকারের কাছে। বঙ্গভূমির এই উদযাপন সেনানীদের প্রতি উৎস্বর্গ করছি আমরা।”

এদিকে, আজকের দিনটি কালা দিবস হিসেবে পালন করল আদিবাসী কুড়মি সমাজের পুরুলিয়া জেলা শাখা। সমাজের রাজ্য নেতা নৃপেণ মাহাতো বলেন, “মানভূম জেলার ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক বিলুপ্তি ঘুটিয়ে তিন খন্ড করে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে জানিয়ে কালা দিবস পালন করছি আমরা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *