আমাদের ভারত, ১৯ নভেম্বর: কোন মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করতে গেলে রাজ্যের সম্মতি লাগবেই। দেশের শীর্ষ আদালত আজ এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ অ-বিজেপি রাজ্য গুলির কাছে স্বস্তির। তাদের বারবারই অভিযোগ নিজেদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র।
দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে আইন অনুযায়ী কেন্দ্র-রাজ্যের সম্মতি ছাড়া সিবিআইকে কোন মামলায় যুক্ত করতে পারে না। এই ধরনের কোনো নির্দেশ দিতে গেলে রাজ্যের সম্মতি বাধ্যতামূলক। সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই আইন করা হয়েছে। আর সেই আইন বদলে ফেলার কোন এক্তিয়ার নেই কেন্দ্রের।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিএ এম খান উইলকার ও বিচারপতি বি আর গভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় উল্লেখ করা হয়েছে দিল্লির স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্টের কথা। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব রাজস্থান, কেরল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে গেলে আগে তাদের সম্মতি বাধ্যতামূলক করেছে।
এবার সেই সিদ্ধান্তে সীলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া একটি মামলার রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের নতুন করে মামলা করা হয়। উত্তরপ্রদেশের সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দেয়। একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে কয়লা বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেখানে আচমকাই সিবিআই হানা দেয়। জানা যায় কোল ইন্ডিয়ার কাছ থেকে চুক্তির ভিত্তিতে পাওয়া কয়লা বিক্রি করা হচ্ছে কালোবাজারে। ঘটনায় নাম জড়ায়ে ২ আধিকারিকের। মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, তদন্তের আগে রাজ্যের কাছে যে সম্মতি নিয়েছিল সিবিআই তা যথেষ্ট। সিবিআই চার্জশিটেও ওই দুই অফিসারের নাম রাখা হয়। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সিবিআই হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় ওই দুই আধিকারিক। তাদের আইনজীবীরা দাবি করেন, তদন্তের জন্য সিবিআই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে যে সম্মতি নিয়ে যা তা যথেষ্ট নয়। সিবিআই তদন্তের জন্য রাজ্যের কাছ থেকে আলাদা ভাবে অনুমতি নিতে হয় যা তারা নেয়নি। এই মামলাতেই শীর্ষ আদালতের রায়ে দানের সময় এই নির্দেশ দিয়েছে।