তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১৯ জানুয়ারি: এরাজ্যে আগামী দিন বিজেপির। তার আগে এখন কঠিন লড়াইয়ের সময়। এই ধারণাকে মাথায় রেখে সংগঠন বিস্তারে উঠেপড়ে লাগল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। রবিবার, গিরীশ পার্কে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রথীন্দ্র মঞ্চে সংগঠনের ৩৭তম রাজ্য সংম্মেলন চলছে। উপস্থিত ছিলেন এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সংগঠন সম্পাদক (পূর্ব) সুনীল আম্বেদকর।
গত বৃহস্পতিবারই বিজেপি তার রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলেছে। তার ঠিক চার দিনের মাথায়, আজ বিজেপির কায়দাতেই সংগঠনের রাজ্য সভাপতিকে বেছে নিল এবিভিপিও। সংঘের কায়দায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গকে জন্য আলাদা রাজ্য কমিটি তৈরি হল। দক্ষিণবঙ্গে রাজ্য বা প্রদেশ কমিটির সভাপতি পুননির্বাচিত হলেন সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। সম্পাদক হলেন সুরঞ্জন সরকার। আর উত্তরবঙ্গে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশিস মণ্ডল। সম্পাদক হলেন বিরাজ বিশ্বাস।
সম্প্রতি, বিশ্বভারতীতে ছাত্রনিগ্রহ-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে এবিভিপির। এসএফআইয়ের মতো বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো বিশ্বভারতীর ঘটনা আর দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপর হামলার ঘটনাকে এক আসনে বসিয়েছে। এসএফআই অভিযোগ করেছে, দিল্লির মতো এরাজ্যেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে এবিভিপি। বিশ্বভারতীর ঘটনা তারই উদাহরণ। বিরোধী ছাত্র সংগঠনের এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে এবিভিপি নেতারা এদিন অভিযোগ করেন, চক্রান্ত করেই বিশ্বভারতীর ঘটনায় তাঁদের সংগঠনের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।