আমাদের ভারত, ২২ সেপ্টেম্বর: তৃণমূল সরকার একটা অমানবিক মুখ নিয়ে একটা অসহিষ্ণু ও স্বৈরাচারি অবস্থান থেকে সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রায়ের পর এই মন্তব্য করলেন বিজেপি-র রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, “এই রায়ই প্রত্যাশিত ছিল“।
শমীকবাবু এক ভিডিওবার্তায় বলেন, “হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে ডিএ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট সরকারি কর্মীদের ডিএ আইনি অধিকার বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতীয় বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ডিএ দেওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্য সরকার তা মানেনি। যদি সরকারের আদৌ সদিচ্ছা থাকত রিভিউ পিটিশনের ১০ দিনের মধ্যে এই অর্থ দিয়ে দিতে পারত। কিন্তু ওই মেয়াদসীমার তিন মাসের মুখে যেভাবে রিভিউ পিটিশন দাখিল করল, তার কারণ কী? কারণ, ডিএ যাতে না দিতে হয়, আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
এই সরকার একদিকে ছাত্রছাত্রীদের সর্বনাশ করেছে। শিক্ষকদের চাকরি বাজারে আলুপটলের মত বিক্রি করেছে। এই সরকার দুটো প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে। পরীক্ষার্থীদের সমূহ ক্ষতি করে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। সমস্ত নিয়োগপ্রক্রিয়াকে কার্যত বিপর্যস্ত করেছে।
যারা ‘দুয়ারে সরকার’-এর ধ্বণি দেয়, তারা সরকারটাকে সরকারি কর্মী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের দুয়ারে পৌঁছতে পারেনি।
এই রাজ্য সরকারের স্বৈরাতান্ত্রিক মনোভাবের কথা সুপ্রিম কোর্ট জানে। আমরা বিশ্বাস করি সুপ্রিম কোর্টেও এই মামলায় রাজ্য হারবে।“