আমাদের ভারত, ১৭ এপ্রিল : করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। আর এই লকডাউনের কারণে যাদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ তারা হল গরিব মানুষ। তাদের কথা চিন্তা করেই কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যপণ্য বন্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতাভুক্ত খাদ্যপন্য এই রাজ্যে বন্টন করা শুরু হয়নি। কেন এই কাজ শুরু করা হলো না, রাজ্যের কাছে জানতে চাইলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয়।
প্রায় মাস খানেক পেরিয়ে গেলেও কেন রাজ্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চালু করল না তা জানতে চাইল কেন্দ্র। রাজ্য খাদ্য দপ্তর তার পাল্টা জবাবে জানিয়েছে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে খাদ্যসামগ্রীর পেলেই সেই কর্মসূচি শুরু করবে তারা।
করোনার মত সংকটে দেশের গরিব মানুষের হাতে বিনামূল্যে রেশন তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের দাবি এই কর্মসূচিতে দেশের অন্তত ৮০কোটি কোটি মানুষের কাছে নিখরচায় চাল ডাল দেওয়া যাবে। লকডাউনের সময় এটি কেন্দ্র সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাশওয়ান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা বৈঠকে রাজ্যের খাদ্য সচিব মনোজ আগারওয়ালকে জিজ্ঞাসা করেন কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে কেন দেরি করছে পশ্চিমবঙ্গ? লকডাউন চলাকালীন বিনামূল্যে ছয় মাসের রেশন দিচ্ছে রাজ্য। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা কর্মসূচিতে প্রতিমাসে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল এবং পরিবারপিছু মাসে ১ কেজি করে ডাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি এই নিয়ে রাজ্যগুলির কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক। চিঠিতে বলা হয়েছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন প্রকল্পের আওতায় দেশের অন্নপূর্ণা অন্তোদয় যোজনাএবং পি এইচ এইচ প্রকল্পের উপভোক্তারা এই সুবিধা পাবেন।
কেন্দ্রের এই প্রকল্পের কাজ কতটা এগিয়েছে তাও হাতে-কলমে জেনে নিতে রাজ্য গুলির খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিবদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাশওয়ান। জানা গেছে মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ আগরওয়ালের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
দ্রুত এই কর্মসূচি শুরু করতে নির্দেশ দেন তিনি। সচিব জানান কেন্দ্রের নির্দেশে দ্রুতই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।নির্দেশ অনুযায়ী চাল ডাল বিনামূল্যে যাতে দেওয়া হয় তার জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। সচিব আরোও জানান, এই প্রকল্প সফল করার জন্য তিনি ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য প্রতিমাসে অন্তত ৩ লক্ষ মেট্রিক টন চাল এবং ১৪.৮ হাজার মেট্রিক টন ডালের প্রয়োজন হবে।