আমাদের ভারত, ১৯ ফেব্রুয়ারি:গত কিছুদিনে বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে উপত্যকা। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশকর্মীদের বেছে বেছে নিশানা দাগছে জঙ্গিরা। শুক্রবার বেলার দিকে সন্ত্রাসের এক ভয়াবহ ছবি আবার সামনে এলো। একেবারে দিনেদুপুরে জনবহুল রাস্তায় পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে এক জঙ্গি। সিসি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে খুব কাছ থেকেই পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে এক জঙ্গি। কম্বলের তলায় লুকিয়ে আনা সয়ংক্রিয় রাইফেলের গুলিতে লুটিয়ে পড়ছে দুই পুলিশকর্মী। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকাজুড়ে।
ভিডিওতে স্পষ্ট হামলাকারীর চেহারা। ভয় দৌড়াদৌড়ি করছে স্থানীয় লোকজন। শ্রীনগরের ভগত বারজুল্লা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর যেতে হলে এই ভগত বারজুল্লা রোড ধরে যেতে হয়। এলাকায় সব সময় পুলিশ মোতায়েন থাকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশকর্মীরা। সেদিকে এগিয়ে গিয়ে আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে এক জঙ্গি। তার পরনে কালো পোশাক মাথা ঢাকা। পুলিশকর্মীদেরকেই নিশানা করে কাছ থেকে গুলি চালাতে থাকে ওই আততায়ী। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন দুজন।
Cctv footage of #Baghat #Srinagar attack in which a terrorist wearing a Kashmiri pheran and firing with AK_47, two Jammu and Kashmir Police jawans were martyred in this attack, search operation underway in the area. pic.twitter.com/zVVPyCy2kG
— Sudarshan News (@SudarshanNewsTV) February 19, 2021
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর সোহেল ও মোহাম্মদ ইউসুফ নামের দুই কনস্টেবল গুলিতে জখম হলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
কিছুদিন ধরেই জঙ্গি তাণ্ডবে অশান্ত হয়ে রয়েছে শ্রীনগর। দুদিন আগে শ্রীনগরে কৃষ্ণায় দফায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।এলোপাতাড়ি গুলিতে জখম হয়েছেন একজন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন জখম ব্যক্তির নাম আকাশ মেহরা। তার অবস্থা সঙ্কটজনক। এর মধ্যে আবারও দুই পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা হলো। গোটা কাশ্মীর জুড়ে এখন নিরাপত্তা কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক গুণ বেশি সেনা। তার মধ্যেও বারবার একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটায় সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর জম্মু-কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবার মদতে একটি নয়া জঙ্গি সংগঠন গড়ে উঠেছে। এই সংগঠনের কাজ হল উপত্যকায় ছড়িয়ে থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও স্থানীয়দের বেছে-বেছে নিশানা করা। এই সংগঠনের অন্যতম মাথা জাহারুল আহমদকে কিছুদিন আগেই পুলিশ ধরেছিল। এই জাহরুল বিজেপির যুব মোর্চার তিন নেতাকে গুলি করে খুনের ছক কষেছিল।
গতবছর উপত্যকায় ১১ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে নয় জনই ছিল বিজেপির।