আমাদের ভারত, সিউড়ি, ৬ মার্চ: করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আবির ছাড়াই অনুষ্ঠিত হল প্রাক বসন্ত উৎসব। আবিরের পরিবর্তে ছড়িয়ে দেওয়া হল গাঁদা ফুলের পাপড়ি। একই সঙ্গে একটি দেওয়াল পত্রিকার উদ্বোধন করে মহম্মদ বাজার থানার বাসন্তিকা মেমোরিয়াল এডুকেশন সোসাইটি।
চিন থেকে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। আবার সেখান থেকেই আসছে আবির। সেই আতঙ্কে আবির ছাড়াই অনুষ্ঠিত হল প্রাক বসন্ত উৎসব। বাসন্তিকা মেমোরিয়াল এডুকেশন সোসাইটির এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। সকালে ‘খোল দ্বার খোল, লাগলো যে দোল’ গানের তালে তালে শুরু হয় বসন্ত উৎসব। ‘যাবার আগে রাঙিয়ে দিয়ে যাওয়া গো’ গানে আবিরের পরিবর্তে গাঁদা ফুলের পাপড়ি দিয়ে রাঙিয়ে দেওয়া হয় সকলকে। শুক্রবার দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাসন্তিকার বসন্ত আলাপ’। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া, শিক্ষক শিক্ষিকাদের লেখা কবিতা, ছোট গল্প স্থান পেয়েছে দেওয়াল পত্রিকায়। উদ্বোধন করেন মহম্মদ বাজারের বিডিও আশিস কুমার মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদবাজার থানার সাব ইনস্পেক্টর মিকাইল আলি, এডুকেশন সোসাইটির সহ সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন, সভাপতি কাজি সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে খুদে পড়ুয়াদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সাবিনা ইসলাম বলেন, “মায়ের স্মৃতিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। মা বসন্ত উৎসবের দিন কাটাতেন শান্তিনিকেতন কিংবা মায়াপুরে। তাই মায়ের ইচ্ছেকে সম্মান দিতেই এবার প্রথম বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শান্তিনিকেতনের ধারা বজায় রেখে উৎসব করা হল। ছোট্ট একটা শান্তিনিকেতনকে তুলে আনার চেষ্টা করলাম। আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। পরের বার যাতে প্রাক্তনীরা অংশগ্রহণ করেন সেই দিকে নজর রাখব। আবেদন করব সকলে এগিয়ে এসে আগামী বছর উৎসবকে সাফল্য করে তুলুন”। কিন্তু প্রাক বসন্ত উৎসব কেন? সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বসন্ত উৎসবে অনেকে বাড়ি চলে যায়। তাই দুদিন আগেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে”।