আমাদের ভারত, ৫ জুন: য-য়ে য-ফলা থাকলে রেফ হয় না কেন? প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মে সমব্যঞ্জনের দ্বিত্বে রেফ বিধেয় নয়। যেমন: বর্ত্তমান নয়, বর্তমান, কর্ম্ম নয়, কর্ম; ধর্ম্ম নয়, ধর্ম, অর্চ্চনা নয়, অর্চনা। বর্জ্জন নয়, বর্জন।
যেহেতু, য-ফলা হচ্ছে য-এর অবিকল ধ্বনি-রূপ, তাই য-য়ে য-ফলা থাকলে তা হবে সমব্যঞ্জনের দ্বিত্ব। কারণ, য্য= য্+য। সুতরাং, য্য-এর ওপর রেফ দিলে তা সমব্যঞ্জনের দ্বিত্বে রেফ্ হয়ে যায়। এজন্য—
কার্য্যালয় নয়, কার্যালয় [কারণ: র্য্য= র্য্য= র্+য্+য (য-ফলা)]। সৌন্দর্য্য নয়, সৌন্দর্য। মাধুর্য্য নয়, মাধুর্য। ধৈর্য্য নয়, ধৈর্য। কার্য্য নয়, কার্য, [র্য্য= র্+য্+য (য-ফলা)] কিন্তু, সামর্থ্য। কারণ, এখানে থ-য়ে আর একটি থ যুক্ত হয়ে ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব হয়নি। অনুরূপ— বর্জ্য, মর্ত্য, দৈর্ঘ্য, যথার্থ্য ইত্যাদি।
শব্দের শেষে রেফ-যুক্ত বর্ণ থাকলে এবং তার সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে উক্ত বর্ণটি ও- কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: গর্ব। এখানে শব্দের শেষে রেফ-যুক্ত বর্ণ ‘র্ব’ আছে এবং এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে ‘ব’-এর উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘বো’ এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘গর্ বো’ (‘গর্ ব’ নয়)।
আরও উদাহরণ:
বর্ণ (বর্ নো), পর্ণ (পর্ নো), কর্ণ (কর্ নো), স্বর্ণ (শর্ নো), দর্প (দর্ পো), সর্প (শর্
পো)।
সূত্র ১) শুদ্ধ উচ্চারণ চর্চা
২) মোহাম্মদ আমীন (বাংলা আমার ভালো নেই: সমগ্র সংযোগ)।
***