দ্রুত মিউটেশন হচ্ছে করোনা ভাইরাসের, ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে কপালে ভাঁজ গবেষকদের

আমাদের ভারত, ১৯ সেপ্টেম্বর: সেরে যাওয়ার পরও একই ব্যক্তি ফের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিশ্বের একাধিক দেশেই। ভারতের বিজ্ঞানীরাও নিশ্চিত করেছেন এদেশেওয় গ্রেটার নয়ডা, মুম্বাইয়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে একবার সেরে যাওয়ার পরে আবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে গবেষকদের কাছে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় করোনাভাইরাস দ্রুত মিউটেশন হয়ে যাচ্ছে। ভাইরাসের প্রথম নমুনা ও দ্বিতীয় নমুনায় স্পষ্ট জেনেটিক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। আর এই-মিউটেশন হতে থাকলে ভ্যাকসিন তৈরি করা মুশকিল হয়ে যায়।

দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স এন্ড ইন্টেগ্রিটি বায়োলজি সম্প্রতি সাত জোড়া ভাইরাস আর এন এ পরীক্ষা নমুনা পরীক্ষা করে দেখেন, ব্যাপকহারে জেনেটিক পরিবর্তন স্পষ্ট। গ্রেটার নয়ডার চারজন ও মুম্বাইয়ের দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ফের করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় টেস্ট করেন বিজ্ঞানীরা। তবে ভাইরাসটির মিউটেশন নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। দেখতে হবে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পরে কেন আবার আক্রান্ত হচ্ছেন সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাকসিনের বিষয়টি। বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাস প্রতিহত করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে।

ওই সংস্থার ডিরেক্টর অনুরাগ আগারওয়ালের কথায়, মুম্বাইয়ের গ্রেটার নয়ডার নমুনা গুলিতে তারা অনেক পার্থক্য দেখেছেন। ব্যাপক জেনেটিক পরিবর্তনের ছাপ সেখানে স্পষ্ট।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই রি-ইনফেকশনের সংজ্ঞা হলো rt-pcr টেস্টে একজন ব্যক্তি অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত ধরা পরার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন। rt-pcr টেস্টে তার শরীরে করোনাভাইরাস নেগেটিভ পাওয়া গেল। মাঝে বেশ কিছুটা সময় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। কিন্তু এরপর আবার rt-pcr টেস্টে দেখা গেল করোনা পজেটিভ তিনি। গ্রেটার নয়ডার যে স্বাস্থ্যকর্মীরা আবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের টেস্টে দেখা গিয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় বার দুবারই তারা উপসর্গহীন তবে। দ্বিতীয়বারে ভাইরাসের লোড অনেক বেশি রয়েছে। তাদের শরীরে এই বিষয়টি যথেষ্ট ভাবাচ্ছে গবেষকদের। প্রথমবার সুস্থ হবার পর যদি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল তাহলে দ্বিতীয়বার ভাইরাসের লোড কিভাবে বাড়ছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *