আমাদের ভারত, ১৯ জুলাই: ত্রিপুরায় অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে গঠন করা হলো বিশেষ টাস্ক ফোর্স। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় পুলিশের ওই টাস্কফোর্সে থাকছেন ১৫ জন সদস্য। বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের ডিপোর্ট করতেই এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমারের নির্দেশে ওই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্সে রয়েছেন ওই জেলার ১৫টি থানার ওসি। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি সুপার দেবাশিস সাহার নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল কাজ করবে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যথাযথ তদন্তের পরে কেউ অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হলে তাদের বায়োমেট্রিক সহ অন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত বিদেশি সনাক্তকরণ পোর্টালে আপলোড করতে হবে। এরপরে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
নজরদারি ঠিকঠাক চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই সংক্রান্ত তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। প্রতি সপ্তাহে, বা প্রতি দুই সপ্তাহে এবং প্রতি মাসের পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করতে করে রাখতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিনা নথিতে থাকা বাংলাদেশিদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদেরও বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ওড়িশা, মহারাষ্ট্র সহ বিজেপি শাসিত কিছু রাজ্য থেকে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে বলে দাবি করেছেন তারা। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলাদেশের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্দেশ্যে তাদের আবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে কেবলমাত্র মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার জন্যই পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নথি দেখানোর পরও তাদের ধড়পাকড় চলছে।
গতকাল দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমি স্পষ্ট বলছি, যারা ভারতের নাগরিক নয়, বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারতে এসেছে, তাদের সঙ্গে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” আর তারপরেই দেখা গেল এক বাংলাভাষি রাজ্যে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে ও অবৈধবাসীদের জন্য সনাক্ত করতে বিশেষ দল গঠন করল পুলিশ।