গোপাল রায়, আরামবাগ, ২৭ আগস্ট: টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের বেশ কয়েকটি এলাকা। রূপনারায়ণ নদীর জল উপচে গিয়ে খানাকুলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।মুন্ডেশ্বরী নদী, দামোদর নদী ও সেচের খালগুলিতে জল বেড়ে গিয়ে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত জল না কমলে সদ্য লাগানো ধান বীজের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
মায়াপুর গড়ের ঘাট রুটের নন্দনপুর এলাকায় জল উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাস চলছে কাটা সার্ভিসের মাধ্যমে। মাড়োখানা, ধান্যঘোড়ি, জগৎপুর, পান শিউলি, রাজহাটি ১ নম্বর ব্লকে ও ২ দু’নম্বর ব্লকের জগদীশ তলা, কাকনান সহ বিস্তির্ণ এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও গ্রামের মধ্যে জল ঢুকেছে। বাড়ির মধ্যেও জল ঢুকেছে। রূপনারায়ণের জল যে ভাবে বাড়ছে তাতে করে বড়সড় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আজ খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলেন হুগলীর জেলা গ্রামীন পুলিশ সুপার তথাগত রায়। বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় পরিদর্শন করেন। তার সাথে বানভাসিদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে দেখেন। এদিন বানভাসী মানুষজনদের হাতে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী হাতে তুলে দেন। এদিন হুগলী জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার তথাগত রায় সহ আরামবাগের এসডিপিও নির্মল কান্তি দাস, খানাকুলের ওসি কৌশিক সরকার ও আরামবাগের সিআইএ গ্রামীণ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ছিলেন।
হুগলী জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার তথাগত রায় বলেন, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকাবাসীদের জন্য কিছু শুকনো খাবার বেশকিছু সামগ্রী নিয়ে এলাম। এলাকায় প্রতিটা বাড়ি বাড়িতে সরেজমিনে ঘুরলাম। এলাকাবাসীদের চাহিদা রয়েছে ত্রিপলের ও অন্যান্য আরো কিছু রিলিভ রয়েছে। আমরা সেটা প্রশাসকের সাথে কথা বলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা করবযতটা সাহায্য করতে পারি সেটার জন্য এখানে আসা। আমরা সব রকম পদক্ষেপ নেব।

