আমাদের ভারত, ১ সেপ্টেম্বর: প্যাংগং লেক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে ভারতীয় সেনা। পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে চিনা ফৌজ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এক জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে উত্তর প্যাঙ্গং হ্রদ সংলগ্ন এলাকায় চিনা আগ্রাসন আগেই দেখা গিয়েছিল। শনিবার রাত থেকে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণের উঁচু পাহাড়ি এলাকায় ঢুকে পড়েছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। তখনই দুই তরফের সংঘাতের খবর সামনে আসে। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর প্যাংগং লেকের দক্ষিণ অংশ ভারতীয় সেনা নজরদারিতে রয়েছে। চিনের বাহিনী তাদের সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
সূত্রের খবর প্যাংগং লেকের দক্ষিনে একটি উঁচু এলাকা আগেই দখল করে রেখেছিল ভারতীয় সেনা। এর ফলেই চিনের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা পেয়ে যায় তারা। দক্ষিণ প্যাংগং আপাতত ভারতীয় দখলে বলেই দাবি করা হয়েছে ওই জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শনিবার রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ অংশে শতাধিক সেনার সামরিক স্বক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। এলাকা দখলের উদ্দেশ্যে আচমকাই আগ্রাসন বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু ভারতীয় সেনার অবস্থানগত সুবিধার ফলে তা ব্যর্থ হয়। চিনা আগ্রাসন রুখে দক্ষিণ প্যাংগং এখন ভারতীয়দের দখলে।
সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যেই নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে চিন। ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢুকে জমি দখলের চেষ্টা করেছে চিনা ফৌজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে ভারতের বাহিনী আগে থেকেই চিনের গতিবিধির ওপর নজর রেখেছিল। এই পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে পারে সে আঁচ করেই প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনা। আর সেই জন্যেই চিনের তৎপরতা সময়মতো রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যদিও চিন দাবি করেছে তারা সীমান্তে কোন আগ্রাসন দেখায়নি। উল্টে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে সীমান্ত পেরিয়ে এসে উত্তেজনা ছড়াবার অভিযোগ তুলেছে তারা।
লাদাখ সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য লাগাতার আলোচনা চলছে। দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিছুদিন আগেও বৈঠক হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। জানা গিয়েছিল সেই বৈঠকে প্যাংগং লেক ও ফিঙ্গার এলাকাগুলো থেকে পিছু হটতে বলা হলে চিন আপত্তি করেছিল। এরপর নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরী হবার পর ফের দুদেশের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক চলছে। লাদাখ সীমান্তে দু’দেশের যুদ্ধবিমানকে চক্কর কাটতে দেখা গেছে।

