তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১৯ জানুয়ারি: নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে ‘অভিনন্দন যাত্রা’র মিছিল এবং সভায় গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন ওই কর্মসূচির শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে, সৌমিত্র অভিযোগ করেন, বুদ্ধিজীবীরা তৃণমূলের থেকে নিয়মিত টাকা পান। সেই জন্যই তাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করেন। এই প্রসঙ্গে এদিন সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘যে বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী মনে করেন, অথচ কামদুনির বেলায় চুপ থাকেন, পার্ক স্ট্রিটে চুপ থাকেন, তেহট্টতে বোম বর্ষণ হচ্ছে, সেটায় চুপ থাকেন, তাঁরা তৃণমূলের কুকুর ছাড়া কিছু না।’
এর পর নাম না-করে কার্যত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, বামপন্থীরা একসময় নেতাজিকে ‘তোজোর কুকুর’ বলতেন। এদিন সেই সুরেই সৌমিত্র বলেন, ‘যেমন আমরা বলতাম তেজোর কুকুর, যেমন গোটা দেশব্যাপী নয়, গোটা বিশ্বব্যাপী জানতো, তো মমতা ব্যানার্জির কুত্তা এই বুদ্ধিজীবীরা যাঁরা গতকাল সিএএ–র বিরোধিতা করছেন, তাঁরা জানেন না এটার সম্পর্কে, কী লেখা আছে আইনে!’
একবার এই ‘জানেন না’ বললেও, এর পরই সৌমিত্র বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে বলতে শুরু করেন, ‘তাঁরা জেনেও ন্যাকামি করছেন। তাই তাঁদেরকে মমতা ব্যানার্জির কুত্তা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।’ সাংবাদিকরা ফের বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গ তুলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি পালটা প্রশ্ন ছোড়েন, ‘বুদ্ধিজীবী মশাই কাকে বলছেন!’ এর পর ফের তিনি বলেন, ‘কলকাতায় যাঁরা বলছেন, তাঁরাই শুধু বুদ্ধিজীবী? তাঁরা ন্যাকাজীবী! তাঁরা পশ্চিমবাংলার কুত্তা।’