বিদ্রোহী হয়েও রনে ভঙ্গ দিলেন সৌমিত্র খাঁ

নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৪ অক্টোবর:
পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেও শেষ পর্যন্ত পিছু হটলেন সৌমিত্র খাঁ। আজ শনিবার যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি সকালে বিজেপি যুব মোর্চা ওয়েস্টবেঙ্গল অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে প্রথমে বেরিয়ে যান। বেরিয়ে যাওয়ার আগে লেখেন, আমি চাই বিজেপিকে সরকার আসতেই হবে। তাই হয়তো আমার অনেক ভুল ছিল যা দলের ক্ষতি করেছে। তাই আমি ইস্তফা দেব। তারপর বিজেপির এক সর্বভারতীয় নেতাকে ফোন করে যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান। প্রসঙ্গত, শুক্রবার যুবমোর্চার জেলা কমিটিগুলি ভেঙে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপরেই দলে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

সকালবেলা দলের মধ্যে সৌমিত্র খাঁয়ের অনুগামীরা বলাবলি শুরু করেন, যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করছেন সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু কখনই সৌমিত্র খাঁ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা সুব্রত চ্যাটার্জির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠাননি। দলের মধ্যে যুবমোর্চার সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের কথা বলে জল মাপতে শুরু করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। এক সময়ে নিজেই বুঝে যান পদত্যাগের কথা বলে দিলীপ ঘোষকে চাপে ফেলা সম্ভব নয়। তাছাড়া তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরাও পদত্যাগ করতে মানা করেন।

তারপরেই নাটকীয় ভাবে যুবমোর্চা না ছাড়ার কথা সরাসরি জানিয়ে দেন সৌমিত্র খাঁ। ফিরে আসেন যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। তারপর ভিডিও বার্তায় দল না ছাড়ার কথা বলেন। তবে, নাম না করে ফের দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি। বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, কোনও ব্যক্তির জন্য আমি দল ছাড়বো না। বিজেপি আমার কাছে পরিবারের মতো। হ্যাঁ, কিছু সময়ের জন্য আমার মান অভিমান হয়েছিল। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমি তৈরি হয়েছি বলে জানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।

সৌমিত্র খাঁয়ের এমন মন্তব্যের পর হাসির ফোয়ারা উঠেছে বিজেপির অন্দরে। দলের একাংশ বলাবলি করছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তারপরে তৃণমূলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দল ত্যাগ করেছেন তিনি। এরপর বিজেপি ছাড়লে সৌমিত্র খাঁয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক দলের অভাব পড়বে। রাজনৈতিক সন্ন্যাস আটকাতেই এবার আর দল ছাড়তে রাজি হননি সৌমিত্র খাঁ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *