পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ এপ্রিল: শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জামাইকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিল মেদিনীপুর জেলা তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা আদালত। কেশপুর থানা এলাকার নৃশংস ঘটনায় আদালতের বিচারক কুসুমিকা দে মিত্র দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। ঘটনার প্রায় ১২ বছর পর দোষী জামাইকে সাজা দেওয়ায় খুশি পরিবারের সদস্যরা। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির নাম তাহের আলি। বাড়ি দাসপুর থানার বালিপোতা গ্রামে।
জানাগেছে, তাহের আলি স্ত্রী মিনারা বিবির ওপর অত্যাচার করত। একইসঙ্গে শ্যালিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা রাজি হয়নি। জানা গিয়েছে, নৃশংস খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল কেশপুর থানার বাঘাগেড়িয়া এলাকায়। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্বশুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তাহের। এমনকি বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির ৬ সদস্যের মৃত্যু হয়। ৫ সদস্য জখম হয়। ঘটনার এক বছর বাদে মেদিনীপুর স্টেশন চত্বর থেকে তাহেরকে গ্রেফতার করেছিল কেশপুর থানার পুলিশ। সেই সময় থেকে জেল বন্দি অবস্থায় ছিল তাহের। একইসঙ্গে এই ঘটনায় মোট ১৪ জন গ্রেপ্তার হলেও তাহের বাদে বাকিদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সরকারি আইনজীবী রাজকুমার দাস বলেন, বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। অবশেষে বিচার পেল পরিবার।
তাহের আলির শ্বশুরবাড়ির সদস্য মুসকান খাতুন বলেন, আদালতের রায়ে খুশি। তবে ফাঁসির সাজা হলে আরও খুশি হতাম।