“কারো ব্যাটা অডি গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর কারও ব্যাটার দেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি অবধি নিয়ে আসতে হচ্ছে,” অভিষেককে কটাক্ষ মিনাক্ষী মুখার্জির

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৮ মে: “কারো ব্যাটা অডি গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁবুতে তাঁবুতে। আর কারও ব্যাটাকে ব্যাগে ভরে বাড়ি অবধি নিয়ে আসতে হচ্ছে মৃতদেহটাকে।” কালিয়াগঞ্জের নাটমন্দিরে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে এসে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদিকা মিনাক্ষী মুখার্জি। তিনি আরও বলেন, “কোর্ট রায় দিয়েছে চোরে চোরে দুই মাসতুতো ভাইকে ২৫-২৫ মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।”

উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের হত্যার অভিযোগ এবং ব্যাগে করে নিজের সন্তানের মৃতদেহ আনার ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই, ডিওয়াইএফ সহ অন্যান্য সংগঠনের তরফ থেকে একটি মিছিল করা হয় কালিয়াগঞ্জ শহরে। এদিন এই মিছিল কালিয়াগঞ্জের গণেশ টকিজ মোড় থেকে শুরু করে কালিয়াগঞ্জের নাট মন্দির প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।

ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মিনাক্ষী মুখার্জি সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের নেতৃত্বরা এদিনের মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এর পরই নাট মন্দির প্রাঙ্গনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। সেই সমাবেশে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনা করেন দলীয় নেতৃত্বরা। ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হন।

দি কেরালা স্টোরি সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা প্রথম নয়। গোটা এলাকার লোকসঙ্গীত, গণসঙ্গীত গাওয়া লোকগুলোকে শিল্পী ভাতা দিয়ে রাজ্য সরকার মুখে কুলুপ আটকে রেখেছে। ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থা নিকৃষ্টতম, আগামী দিনে কোন দিকে যেতে চলেছে? সমস্ত উঁচু কেন্দ্রীয় ইউনিভার্সিটিতে কিভাবে আরএসএসের লোকজন ঢুকিয়ে মানুষের সেকুলারিজমের ক্ষমতা, এবং বোঝার ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এটাই কেরালা স্টোরি। এটাকে ব্যান করা বা এটাকে দেখানো বা তৈরি করা এই তিনটি ক্ষেত্রেই যারা বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছে তারাই পশ্চিমবঙ্গকে আরএসএস -এর কোলে গিফট করতে চাইছে। এত সহজে হবে না। গোটা রাজ্যের মানুষ এদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লড়ছে।”

বানতোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার মানুষের স্বার্থে কাজ করবে, এটা যদি তাদের ব্যবসা হয়ে যায় তাহলে মুশকিল। অন্তর্দ্বন্দ্ব যদি কোনো শেয়ার হোল্ডারের মধ্যে হয়, তাহলে তা আইনগতভাবে মানিয়ে নেবে। এটা যদি সরকারি কোনো রাজনৈতিক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব হয়, তাহলে আমরা দেখেছি বাইরেও ছাপ্পা করে, নিজেদের তাঁবুতেও ছাপ্পা চলছে। এদের প্রতি সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই।”

পাশাপাশি মালদাগুলির কান্ড নিয়ে মীনাক্ষী দেবী বলেন, “গোটা রাজ্যজুড়ে ২০২৪-র ইলেকশনের আগে সম্পূর্ণ জনবিরোধী বাজেট দেশের সরকার পেশ করে দিয়ে ভাবছে তারা নির্দ্বিধায় ভোটের বৈতরণী পার হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ এদের সফট টার্গেট। তাই পশ্চিমবঙ্গে একের পর একটা এ ধরনের অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। মাইক, মঞ্চ এবং লাইট দিয়ে সহযোগিতা করছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এবং পুলিশ পেটুয়া হয়ে সহযোগিতা করছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *