নলাটেশ্বরী মন্দিরের মৃত্তিকা পাঠানো হল অযোধ্যায়

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২ আগস্ট: বক্রেশ্বর সতীপীঠ, তারাপীঠ সিদ্ধপীঠের পর এবার অযোধ্যায় ভূমি পুজো উপলক্ষ্যে যজ্ঞ করা হল জেলার আরএক সতীপীঠ নলাটেশ্বরী মন্দিরে। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ মন্দির চত্বরে যজ্ঞ ও পুজো শুরু করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা অনিল সিং। ছিলেন তার পরিবারের সদস্য এবং দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। যজ্ঞের ভস্ম এবং সতীপীঠের মৃত্তিকা অযোধ্যায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান অনিলবাবু।

৫ আগস্ট উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় হবে রামমন্দিরের ভূমি পুজো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভূমি পুজোয় অংশ নেবেন। সেই পুজোয় রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানের মাটি জল পাঠানো হচ্ছে। বীরভূমে রয়েছে পাঁচটি সতীপীঠ। রয়েছে তারাপীঠের মতো সিদ্ধপীঠ। তারাপীঠ থেকে যজ্ঞের ভস্ম, দ্বারকা নদী এবং জীবিত কুন্ডের জল পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে শ্মশানের মৃত্তিকা। একইভাবে বক্রেশ্বর সতীপীঠ থেকে পাঠানো হয়েছে যজ্ঞের ভস্ম এবং মৃত্তিকা। পিছিয়ে নেই নলহাটিও। রবিবার সকালে নলাটেশ্বরী মন্দিরে যজ্ঞের আয়োজন করেন বিজেপি নেতা অনিল সিং। নিজের পরিবার এবং কর্মী সমর্থকদের নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যজ্ঞ করা হয়। অভিযোগ, প্রথম দিকে যজ্ঞে বাধার সৃষ্টি করেন নলহাটি থানার ওসি কার্তিক রায়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত পিছু হঠে পুলিশ। নির্বিঘ্নে যজ্ঞের কাজ সম্পন্ন হয়। তবে থানায় ডেকে অনিল সিংহকে দেখে নেওয়ার হুমিক দেয় পুলিশ।

অনিলবাবু বলেন, “রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে মানুষের একটা আবেগ রয়েছে। দীর্ঘও লড়াইয়ের পর রামমন্দির নির্মাণের ভূমি পুজো হতে চলেছে। এই পুজো সশরীরে না হলেও সতীপীঠের ভস্ম ও মৃত্তিকা পাঠিয়ে অংশগ্রহণ করলাম। মন্দির নির্মাণ আন্দোলনে বাম আমলে ইঁট পুজো নিয়ে পুলিশ যে ভূমিকা পালন করেছিল এখনও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। রামের নাম শুনলে পুলিশ ক্ষেপে যাচ্ছে। তবে পুলিশ যে ব্যবস্থা নেওয়ার নিতে পারে। আমরা রামের পুজো চালিয়ে যাব”।

সঙ্গিতা সিংহ বলেন, “প্রায় ৫০০ বছর ধরে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সেই ভাবাবেগ থেকেই আমরা যজ্ঞ করলাম। যজ্ঞের ভস্ম এবং সতীপীঠের মৃত্তিকা অযোধ্যায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *