Rajnya, Social media, রাজন্যার অভিযোগ নিয়ে বিতর্কে মাতোয়ারা সমাজমাধ্যম

আমাদের ভারত, ৭ জুলাই: রাজন্যা হালদার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের এআই দিয়ে অশ্লীল ছবি ভাইরাল করার যে মারাত্মক অভিযোগ তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে রাজ্য নেতাদের কাছে এনেছে সেটা নিয়ে সংবাদমাধ্যম এখন সরব। রাজন্যা নিজে বলেছেন, “আমি চাই না ৯ অগাস্ট বা ২৫ জুন স্মরণীয় দিন হয়ে থাকুক তৃণমূলের কাছে, তাই প্রতিবাদ করেছি।”

একটি সংবাদমাধ্যমে রাজন্যার অভিযোগ সমাজমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় এটির প্রতিক্রিয়া ও শেয়ারের সংখ্যা হয়েছে ৩০৩ ও ১০১। দর্শক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার।

বিশ্বজিৎ পাল লিখেছেন, “কোনো শিক্ষিত এবং রুচিশীল মানুষ এই রকম একটা দলে যোগ দেবে বলে মনে হয় না। তাহলে সহযেই বোঝা যায় বর্তমানে যারা আছেন তাদের মন/ মানসিকতা কেমন হতে পারে।” অঞ্জন জানা লিখেছেন, “অভিষেক, মমতাকে বলে কী হবে? ওদের প্রশ্রয়েই সবকিছু হচ্ছে।”

সঞ্জয় চক্রবর্তী লিখেছেন, “এই সব নাটক ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। রাস্তায় নামুন, এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠান।” শান্তনু দাস লিখেছেন, “বাকিদের নাম গুলো কেন বলছো না মামণি।” রিঙ্কি দাস কর্মকার লিখেছেন, “চিন্তা নেই, তাদের কানে কথা পৌঁছলেও কোনো ব্যবস্থা নেবে না।”

বিরোধিতাও এসেছে প্রতিক্রিয়ায়। পূজা বর লিখেছেন, “এআই দিয়ে ফটো বানানো, না তোর সত্যি কারের ফটো?” বুবাই প্রামাণিক লিখেছেন, “ইনি হচ্ছেন আসল নেত্রী, যিনি দলের বিপদের দিনে এগিয়ে এসেছেন। এই মুহূর্তে যখন দল সাঁড়াশি আক্রমণের মধ্যে পড়েছে উনি সুন্দরভাবে সমগ্র ঘটনাটাকে ঘুরিয়ে দিচ্ছেন।” জাকির হোসেন লিখেছেন, “হাইলাইট হতে চাইছে।”

অভিনন্দন অভি লিখেছেন, “সন্দেশখালিতে পিঠে বানানোর যখন ঘটনা ঘটছিল তখন কেন মুখ বুঁজেছিলেন?” প্রদীপ বিশ্বাস লিখেছেন, “কী ধরনের প্রতিবাদ করছেন। অপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে রাজি নন?” মুখতার আলি লিখেছেন, “ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা, সুযোগ সন্ধানি…।” সুমিত সামন্ত লিখেছেন, “তোর ড্রামা বন্ধ কর”। দেবাশিস গাঙ্গুলি লিখেছেন, “সাসপেনশন যাতে তুলে নেওয়া হয় সেই জন্যে এত নাটক। দলে নাম কামানোর ধান্ধা। আবার যাতে জুলাইতে বক্তৃতা দিতে পারে। সবটাই নাটক।”

পৃথক পোস্টে সোমবার সকালে ইউটিউবার সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “প্রশ্ন হচ্ছে সেটা নিয়ে, যে কোনো সুস্থ মস্তিষ্ক বলে পুলিশি তদন্ত করে তিনি ঠিক না ভুল সেটা চিহ্নিত করা, এবং কেউ সত্যি এই ঘটনা করলে তার শাস্তি নিশ্চিত করা, এবং সেটাই অপরাধীদের বার্তা দেবে।

উল্টে কী দেখলাম? ক্যাম্যাক স্ট্রিটের অফিস থেকে মা/ফি/য়া টা বসে প্রতীককে দিয়ে দিয়ে ফিরহাদ কন্যা এবং অতীন কন্যাকে নামালেন সেই নোংরা ঘটনার অভিযোগকে কাউন্টার করতে। আদতে কাউন্টার মিডিয়া ন্যারেটিভ তৈরিতে করা।

এই পশ্চিমবঙ্গে এই ক্রিমিনাল মাইন্ড সেটই বংলার অধোগতি ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
তৃণমূলকে এখনো যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা ভাবুন কোন নৈরাজ্যের রাজ্য নির্মাণে নিবিষ্ট তাঁদের দলের নোংরা ফেরেপবাজটা…..।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *