আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১ সেপ্টেম্বর: রেলস্টেশন ও প্লাটফর্মগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি রক্ষার জন্য বৃত্ত আঁকা প্রায় শেষ। বারাসাত জংশন ও প্লাটফর্ম সহ উত্তর চব্বিশ পরগনার চিত্র প্রায় একইরকম। স্বাভাবিকভাবেই মনে হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
উল্লেখ্য মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সারাদেশে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। করোনা সংক্রমনের মোকাবিলায় লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত মানুষকে কার্যত বিপাকে ফেলে। তথাপি ভাইরাসের সংক্রমন রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার রেল বন্ধ করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালালে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এমত পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে শিয়ালদা–বনগাঁ শাখা, বারাসাত–হাসনাবাদ শাখা সহ একাধিক জায়গায়। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মিলছে প্রতিটি স্টেশনে।

প্ল্যাটফর্মে গেলেই দেখা যাচ্ছে তুলি হাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি রক্ষার জন্য সাদা বা হলুদ রঙের গোলাকার বৃত্ত আঁকার কাজে ব্যস্ত রেলকর্মীরা। শিয়ালদা থেকে বনগাঁ, হাসনাবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে ক্যামেরাতে ফুটে উঠেছে একই চিত্র। যারা বৃত্ত আকার কাজে ব্যস্ত তাদের কাছে ট্রেন কবে চলবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। কিন্তু যে গুটিকয়েক মানুষ প্লাটফর্মে উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন তারা বললেন, এই বৃত্ত অদূর ভবিষ্যতে লোকাল ট্রেন চলার ইঙ্গিত।

কিন্তু অনেকের বক্তব্য স্পষ্ট করছে যে তাঁদের মধ্যে বিপরীতধর্মী ভাবনা কাজ করছে। একদল মানুষ বলছেন করোনা আবহে লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত। অন্যদিকে আরেকদল বলছেন, মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমবে লোকাল ট্রেন চালু হলেই। মানুষ আনলক ৪ স্টেজে বিভিন্ন কর্মস্থলে যেতে সুবিধা বোধ করবেন লোকাল ট্রেন চালু হলে। ইতিমধ্যেই মেট্রোরেল চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই লোকাল ট্রেন চলা সময়ের অপেক্ষা। প্রশ্ন একটাই, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালানো কতটা বাস্তব সম্মত। মিশ্র প্রতিক্রিয়ার নিরিখে একথা বলাই যায় যদি সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে ও স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে লোকাল ট্রেন চালু করা হয় তাহলে দূর দূরান্তে মানুষের যাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

