সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাকুঁড়া, ১৩ নভেম্বর: আজ সকালে গ্ৰাম্য দেবীর মন্দির চত্বরে বিশাল ময়াল সাপের ছাপ দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় গঙ্গাজলঘাঁটি থানার খটিয়াল গ্ৰামে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই গ্ৰামবাসীরা জড়ো হন মন্দিরে। এই ঘটনা অলৌকিক বলে গ্রামের বাসিন্দারা মত প্রকাশ করেন। কাকভোরে শঙ্খ আর উলুধ্বনীতে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। মুহূর্তে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় মন্দির চত্বর। বহু মানুষ পয়সা ছুঁড়ে ভক্তি প্রকাশ করতে থাকেন।
বাকুঁড়ার শিল্পাঞ্চল দুর্লভপুর-বড়জোড়া লিংক রোডের পাশেই খটিয়াল গ্ৰাম। সেখানেই গ্রাম্য দেবী খটিয়ালা বুড়ির মন্দির। প্রচলিত গ্ৰাম্য দেবমন্দিরের মতই এই মন্দিরেও মাথার উপর ছাদ নেই। রয়েছে বাঁধানো মোজাইক করা চাতাল। দু’ফুট উচ্চতার পাঁচিল। চাতালে ধুলোর আস্তরণ পড়েছে। খটিয়ালা বুড়ির সাথে পোড়ামাটির অসংখ্য হাতি ঘোড়া পুজিত হন এখানে।
গ্রামের বাসিন্দা অনাদি ঘোষ, সাধন ঘোষ, নিধিরাম ঘোষেরা বলেন, আমাদের গ্রাম্য দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। কোনো শুভ অনুষ্ঠান শুরুর আগে আমরা দেবীর পুজো দিই। এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি বা ঘটেছিল বলে শুনিনি। অনাদিবাবু বলেন, ভোরের আলো ফুটতেই দেখি অন্তত ২০ ফুট লম্বা একটি মোটা অজগর জাতীয় সাপের ছাপ দেবী মূর্তির ঠিক দু’ফুট আগে গিয়ে থেমে গেছে। তারপর মূর্তি পর্যন্ত পায়ের ছাপ মত কয়েকটি চিহ্ন। সাপটি গেলই বা কোন দিকে, আর ফেরার সময় ছাপ পড়ল না কেন। নানা প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় বাসিন্দারা একে দেবীর লীলা বলে মনে করছেন।
গ্রামবাসীরা জানান, যজ্ঞ সহকারে পুজো ও অহরাত্র হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হবে। গ্রামের বাসিন্দা বাঘাম্বর ঢাং বলেন, মনে হচ্ছে মায়ের মাথার উপর দিয়ে পাঁচিল টপকে সাপটি রাস্তা পার হয়ে জঙ্গলের দিকে চলে গেছে। যুক্তিবাদীরাও এইঘটনা কে নিছকই সাধারন ঘটনাবলে মত পোষন করছেন।