আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১১ ডিসেম্বর: সীমান্তে বিএসএফের দেওয়া বাঁশের বেড়া গুড়িয়ে দিল পাচারকারীরা। রাতভর দেদার গোরু পাচার হিলির আগ্রা সীমান্তে। বিএসএফ আউটপোস্টের পাশেই এমন ঘটনায় প্রশ্ন চিহ্নে দাঁড়িয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা। যোগসাজসের অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার এমন ঘটনায় তুমুল শোরগোল পড়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই বুধবার সকাল থেকে তড়িঘড়ি ওই এলাকায় নতুন করে বাঁশের ঘেরা দেওয়ার কাজ শুরু করে বিএসএফ কর্মীরা। যদিও এমন ঘটনার বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটেন ১৯৯ নং বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা।
যদিও এমন সব বিষয় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ১৯৯ নং বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের কমানডেন্ট বিজেন্দ্র সিং নেগী।
ভারত-বাংলাদেশের তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের ২৫২ কিলোমিটার বর্ডার এলাকার মধ্যে উন্মুক্ত রয়েছে প্রায় ২৭ কিলোমিটার। দুদেশের বিভিন্ন জটিলতায় আজও এই সব এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার মধ্যে অন্যতম হিসাবে চিহ্নিত হিলির আগ্রা এলাকা। সম্প্রতি আগ্রা থেকে মাত্র একশো মিটার দূরত্বে কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট করে গরু পাচারের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সীমান্ত।পাচারকারীদের বাধা দেওয়ায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহতও হয়েছিলেন দুই কৃষক। যা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে সুর চড়িয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর পরেও সীমান্তে গরু পাচার বন্ধের কোনও লক্ষণ নেই।
বুধবার ভোররাতে আগ্রা সীমান্তে বিএসএফের পোষ্টের কাছে অস্থায়ী বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে দেদার গরু পাচার চালায় পাচারকারীরা বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাসিন্দারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমন ঘটনায় খোদ বিএসএফের একাংশই জড়িত রয়েছেন। তা না হলে বিএসএফের পোষ্টের কাছে এমন ঘটনা কখনোই সম্ভব নয়।
এলাকার বাসিন্দা তথা কৃষক নিন্টু দাস ও বিভাস দাসরা জানিয়েছেন, কৃষকের জমির ফসল নষ্ট করে দেদার গরু পাচার চলছে। অন্যদিকে বিএসএফ পোষ্টের কাছে বাঁশের বেড়া উড়িয়ে গরু পাচার করছে পাচারকারীরা। এমন সব ঘটনা বিএসএফের হস্তক্ষেপ ছাড়া কখনোই সম্ভব নয়।