আমাদের ভারত, ৩ সেপ্টেম্বর: বারবার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য দিল্লিতে রেললাইনের দুইধার থেকে বস্তি উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। হলফনামা দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে এমনটাই অভিযোগ করেছিল রেল। সোমবার শীর্ষ আদালত তার রায় দিল। রেললাইনে দুই ধার থেকে ৪৮ হাজার বস্তি উচ্ছেদ করতে তিন মাসের মধ্যে। দফায় দফায় এই উচ্ছেদের কাজ চালিয়ে খালি করে দিতে হবে রেলের সেফটি জোন।
এই কাজে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো রকম হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। বস্তি উচ্ছেদের ওপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু সেই রায় আর কার্যকারী হবে না। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে সেফটি-জোন থেকে জবর দখলকারী দিয়ে সরিয়ে দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। অন্য কোনো আদালত যদি উচ্ছেদের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকে তা গ্রাহ্য হবে না। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
রেল জানিয়েছে ২০১৮ সালে গ্রিন ট্রাইবুনাল রায় দিয়েছিল রাজধানী এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার অঞ্চল থেকে জবরদখল ছড়িয়ে দিতে হবে। সে জন্য স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে গ্রিন ট্রাইবুনালের রায় কার্যকর করার জন্য আলোচনায় বসবে দিল্লি সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পুরসভা। বিচারপতিরা বলেছেন এক সপ্তাহের মধ্যে এই বৈঠক করতে হবে। তারপরেই শুরু হবে উচ্ছেদ। ওই জোনকে দখলমুক্ত করতে যে খরচ হবে তার ৭০% বহন করবে রেল বাকি ২০% বহন করবে দিল্লি সরকার।

