আমাদের ভারত, ১০ সেপ্টেম্বর: এস আই আর আপাতত দেশের রাজনীতির মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলেই দাবি করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এসআইআর হলে অনেক ভোটারের নাম বাদ যাবে। এই পরিস্থিতিতে আবার
এসআইআর চালু হলে কেবল ভুয়ো ভোটারই নয়, ভুয়ো মন্ত্রী ও বিধায়কের তথ্যও সামনে আসতে পারে বলে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রত্যেকটি রাজ্যের সিইও’র সঙ্গে বৈঠক করছে। আর সেই বৈঠকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসআইআর সম্পর্কিত কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর যে লাগু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষায় সে ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। তারমধ্যে যারা এসআইআর- এর বিরোধিতা করছে, তাদের জন্য এবার চিন্তার কথা বলে দিলেন সুকান্তবাবু। তাঁর মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এসআইআর হলে অনেক তথ্য সামনে চলে আসবে। আর সেই তথ্য সামনে চলে এলে যে অনেক বড় বড় মাথা চাপে পড়ে যাবে তা স্পষ্ট।
সুকান্ত মজুমদারের কথায় এস আই আর শুরু হোক, সবে তো কলির সন্ধ্যা। আরো অনেক কিছু পাওয়া যাবে। ভুয়ো ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড, দেখা যাক ভুয়ো মন্ত্রী ও বিধায়ক পাওয়া যায় কিনা।
তবে সুকান্তবাবুর এই বক্তব্যের পরেই তাকে এসআইআর কবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার উত্তর দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, এসআইআর নির্বাচন কমিশনের বিষয়, তাই তারা যেদিন ঘোষণা করবে সেদিন এসআইআর হবে। তবে রাজ্য বিজেপির যেমন এই বিষয়ে স্পষ্ট চিন্তা ভাবনা রয়েছে, তেমনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বক্তব্য রেখেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যদি ভোটার তালিকা অগ্রাহ্য হয়, তবে সেই তালিকায় থাকা ভোটার দ্বারা নির্বাচিত হয়ে যারা প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন তারাও অবৈধ, সুতরাং প্রধানমন্ত্রীকে ইস্তফা দিন কিংবা মন্ত্রিসভা ভেঙে দিন তারপর এসআইআর লাগু করা হোক সারা দেশে।