আমাদের ভারত, ১৭ অক্টোবর: এস আই আর শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে উঠেছে। বুধবার কলকাতার বিজেপির তফসিলি জনজাতি মোর্চার বিক্ষোভ মিছিলের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, এস আই আর নিয়ে হিংসা বা অশান্তি চালানোর চেষ্টা হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে রাস্তায়। প্রয়োজনে গুলিও চলবে। এর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে তুই তোকারি করে গুলি চালানোর হুমকি দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হুমকির জবাব দিয়ে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার এস আই আর- এ বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “সাধারণ মুসলিম ভাইদের বলছি, যারা আমাদের ভোট দেন না, তাদেরকেউ বলছি, তৃণমূল নেতাদের কথায় রাস্তায় নামবেন না। রাস্তায় নামলে কেন্দ্রীয় বাহিনীও নামবে। যেরকম মুর্শিদাবাদে নেমেছিল। যদি ভাঙ্গচুর করেন, দোকানঘরে- বাড়িতে আক্রমণ করেন, তৃণমূলের কোন নেতার ছেলের জীবন যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামলে কিন্তু গুলি চলবে। আপনার বাড়ির লোকেদের গুলি লাগবে। তৃণমূলের নেতারা এসি ঘরে বসে থাকবেন। তাদের কিন্তু গুলি লাগবে না। তাই তৃণমূলের ফাঁদে পা দেবেন না। ভালো করে বুঝুন, মুসলিম হন বা হিন্দু হন, যারা ভারতীয় তাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবেই।
এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদারকে পাল্টা হুমকি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তুই তোকারি করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বেআইনি করুক না। একটা ভোটারকে বাদ দিয়ে দেখাক। স্তব্ধ করে দেবো কমিশন। ওই ছোড়াটা যেটা মন্ত্রী হয়েছে, দেখ না সিআইএসএফ কোথায় গুলি এসে ছোড়ে, তোর মুখে গুলি করবে। বালুরঘাটে ঢুকেছে দশ হাজার ভোটে জিতেছে। এবার দেখছি আমরা। সিআইএসএফ দিয়ে গুলি চালাবে বলছে। এত বড় হিম্মত? বাংলার মানুষকে চিনিস না। এটা উত্তর প্রদেশ না, ওই দু’চারটে সুকান্ত হাওয়া দিয়ে উড়ে যাবে। মাঠে তো দেখা যায় না। আয় না একবার বক্তৃতা দিতে আমার এখানে। আয় তুই শ্রীরামপুরে, তারপর তুই ঘরে ফিরিস কিভাবে দেখব?”
পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিতে দেরি করেননি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে একজন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। ওনার মানসিক স্থিতি কি আছে? বয়স হয়ে গিয়েছে। এদের এখন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো উচিত। বাচ্চাদের মতো কথা বলে। কখন কী বলে তার কোন ঠিক নেই।” এরপর তিনি বলেন, অভিষেক ব্যানার্জি তো এদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে দল থেকে। উনার কত দম আছে তা আমার জানা আছে। পুলিশ সরে যাক না, বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না। মার খেয়ে মরে যাবে পাবলিকের, এত পয়সা খেয়েছে। বুড়ো বয়সে এমন সব কাজ করেছেন যে ক্যামেরার সামনে বলা যায় না। আমি ওনার চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি। আমি কালই যাচ্ছি ওনার এলাকায়। দেখি না কী করে, কত বড় বাপের বেটা হয়েছে দেখব।

