অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ৩০ ডিসেম্বর:
আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। সেই উপলক্ষে এখন থেকেই নানা অনুষ্ঠান চলেছে সেখানে। প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। এবার আরামবাগ পুরসভার একটি অনুষ্ঠানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে মন্তব্য করে চর্চায় উঠে এলেন শিল্পী। আর তা নিয়ে তাঁর নাম না করে সরব হয়েছেন নেটনাগরিকদের একাংশ।
অতি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ের মধ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, রাম মন্দির নিয়ে বেশ কিছু কথা। নচিকেতা সেখানে ‘কোথায় জন্মেছে রাম’ গানটি গাইতে শুরু করেন। তারপরেই বলতে শুরু করেন, ‘এই যে রাম জন্মভূমি নিয়ে আমাদের দেশে নানা ধরনের ধ্যাস্টামি চলে আসছে। এ তো কোনওভাবেই ধর্মের বিষয় নয়, আসলে রাজনৈতিক খেলা।’
শুধু তাই নয়, শিল্পী বলেন, ‘আমরা যদি এতই রামে বিশ্বাস করি, তবে দশরথে নয় কেন? রামের কোথায় জন্মভূমি জানতে হলে, দশরথকে প্ল্যানচেট করে ডাকা হোক। তিনিই একমাত্র বলতে পারবেন কোথায় আসলে জন্মেছেন রাম।’
শিল্পীর কথায়, ‘নাহলে কেউ বলবেন অযোধ্যায় রাম জন্মেছেন, কেউ আবার বলবেন কিষ্কিন্দ্যা। কারও আবার ধর্মতলায়ও জন্মেছেন মনে হতে পারে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রাম জন্মাতে থাকবেন।’
গানের মাঝেই অনর্গল এমন সব কথা বলে গেলেন নচিকেতা। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া থেকে শুরু হয়েছে নানা চর্চা। রীতিমতো ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। গায়ককে নিয়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। নেটনাগরিকরা তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য, কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, ‘হিন্দু বলে আপনার এসব কথা শুনেও সহ্য করি, অন্য ধর্মের লোকদের বললে বুঝতেন।’
শনিবার বড় হরফে বিজেপি নেত্রী সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী লিখেছেন, “বয়স হয়ে গেলে স্রোতের বিপরীতে মন্তব্য করে অনেক সেলিব্রিটি খবরের শীর্ষে থাকতে চান। ইগনোর করুন।”
প্রতিক্রিয়ায় দেবাশিস চক্রবর্তী লিখেছেন, “দিদি
কতজনকে ইগনোর করবে? আমাদের সনাতন ধর্ম প্রভু শ্রীরাম, বাবা ভোলেনাথ, শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে যে যা বলবে সব কি আমাদের মেনে নিতে হবে?”
সুব্রত করণ লিখেছেন, “দিদি ওর বিরুদ্ধে কি এফআইআর করা সম্ভব না?” জবাবে সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী লিখেছেন, “ধুর! গুরুত্ব কম দিন, একদম সিধে হয়ে যাবে।” সুব্রত করণ লিখেছেন, “নাহলে এরকম বলতেই থাকবে। এসব বলে বলে সাহস বেড়ে যাচ্ছে।”
পিন্টু অধিকারী লিখেছেন, “এইসব মানুষের কিছুদিন পরে অস্তিত্ব থাকবে না।” কৌশিক ভট্টাচার্য লিখেছেন, “অন্য ধর্ম সম্বন্ধে বলতে পারত না। আমরা বারবার মেনে নিই বলে প্রশ্রয় পেয়ে যায়।”

