আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২৯ অক্টোবর:
আব্বাস সিদ্দিকীর সংগঠনের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের দুর্গাপুর গ্রামে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় আব্বাস অনুগামীরা। এদিন দুপুরে বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর ও নলমুড়িতে রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে তারা। পরে অবশ্য ভাঙড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আব্বাস অনুগামীদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরের বাসিন্দা শফিকুল বৈদ্যকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কয়েকদিন আগে আব্বাস সিদ্দিকীর ডাকে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিল শফিকুল। আর সেই কারণেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তার বাড়ি ঘেরাও করে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের পাশাপাশি তার সেলাই মেশিনের কারখানাতেও ভাঙ্গচুর চালায়। এ ঘটনায় শফিকুল বৈদ্য সহ বেশ কয়েকজন আব্বাস অনুগামী আহত হয় বলে দাবি। তাদেরকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেও গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পড়ে ভাঙড় থানার পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে। শফিকুল বৈদ্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই আব্বাস সিদ্দিকীর সংগঠনের পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন তার অনুগামীরা।
বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর চার রাস্তার মোড় সহ নলমুড়ি রাস্তা অবরোধ করা হয়। রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে দীর্ঘক্ষন ধরে চলে অবরোধ। অবরোধকারীদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শওকত মোল্লার অনুগামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীরা। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাসন্তী হাইওয়ে অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে শওকত মোল্লার কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।