স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ৭ নভেম্বর:
দিদি বা তৃণমূলের প্রতীকী চিহ্ন কেও নয়, একমাত্র দাদাকে সামনে রেখেই নন্দীগ্রাম চলো ডাক দিল শুভেন্দু অনুগামীরা। নদীয়ার কৃষ্ণনগর সদরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে মমতার ছবি ছাড়াই, দলের প্রতীক চিহ্ন ছাড়াই শুধু দাদা কে সামনে রেখে নন্দীগ্রাম চলার ডাক শুভেন্দু অনুগামীদের।
এতদিন শুভেন্দুর অনুগামীরা মমতার ছবি ও তৃণমূলের প্রতিকী চিহ্ন ছাড়াই ব্যানার ফ্লেক্স বানিয়ে দাদাকে সামনে রেখে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করছিল, এইবার সরাসরি নন্দীগ্রাম চলো ডাক দিলেন শুভেন্দু। এই নন্দীগ্রামই তৃণমূলের ঘুরে দাঁড়ানোর মূল জায়গা। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের আন্দোলনই তৃণমূলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসছিল। নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে সেই সময় অধিকারী পরিবারের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এখন শুভেন্দুর সঙ্গে মমতা দূরত্ব বেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম চলোর ডাক দিলেন শুভেন্দু। সেই ব্যানারে ছেয়ে গেছে কৃষ্ণনগর সদরের বিভিন্ন এলাকা।
এর পেছনে রয়েছে তৃণমূলেরই একটা বড় অংশ। তাহলে কি তৃণমূলের ভাঙন আসন্ন? সমান্তরাল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা এতদিন তৃণমূলে থেকে। প্রশ্ন উঠছে কৃষ্ণনগরে।
তৃণমূলের মুখ পুড়েছে এতে। দলের ভেতর থেকেই একশ্রেণির কর্মীরা দল বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। এইবার সেখান থেকে বাঁচার জন্য বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিচ্ছে তারা। তৃণমূলের একশ্রেণির নেতা কর্মীদের দাবি বিজেপির লোকেরাই তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এই ধরনের ব্যানার লাগিয়েছে।
নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাশীষ রায় বলেন, আমাদের কাছে শুভেন্দু অধিকারী একটা নেতৃত্ব। তার জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের দল আছে। দলই তার উপযুক্ত জবাব দিতে পারবে। আমরা জানি তৃণমূল দলের সৃষ্টি থেকে শুভেন্দু অধিকারী আমাদের দলে আছেন। তিনি আমাদের দলেই থাকবেন এ সম্বন্ধে কোনো দ্বিমত নেই। তার নেতৃত্বেই তৃণমূল কংগ্রেস লড়ছে লড়বে। বিজেপি কি বলল তাতে আমাদের মাথা ব্যথা নাই।
বিজেপির নদীয়া জেলা উত্তরের তপশিলি মোর্চার সভাপতি অনুপ কুমার মন্ডল বলেন, সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি কৃষ্ণনগর সদর শহরে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর কয়েকটা পোস্টার পড়েছে। তৃণমূলের যারা কার্যকর্তা নদীয়া জেলার তারা আমাদের নামে অভিযোগ করছে যে এটা বিজেপির অপপ্রচার, বিজেপিই এই ব্যানারগুলো লাগিয়েছে। এই বিষয়ে আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এই ধরনের নোংরা রাজনীতি ভারতীয় জনতা পার্টি কোনদিনও করেনি। আমরা সম্প্রতি খবরের মাধ্যমে জানতে পেরেছি নদীয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি মহুয়া মৈত্র জেলার অনেক নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।আর সেই বদলের কারণেই তৃণমূলের অন্দরে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, একটা গোষ্ঠী কোন্দল তৈরি হয়েছে। ঠিক ওই কারণের জন্যই আমাদের মনে হয় তৃণমূলের যারা প্রাক্তন কার্যকর্তা ছিল তারাই রাগ অনুরাগ করে শুভেন্দু অধিকারীর নামে এই ব্যানারগুলো ফেলেছে।