আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২ ডিসেম্বর: “ডিসেম্বরে রাজ্যের বড় চোর শুভেন্দু অধিকারী জেলে যাবে”। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর ডেটলাইন প্রসঙ্গে এমনই কটাক্ষ করেন তৃণমূলের আইটি সেলের রাজ্য সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, ২৭ নভেম্বর বোলপুর লোকসভার মল্লারপুর নিমতলা মাঠে সভা করেন বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তী। একই মাঠে শুক্রবার তারই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বীরভূম ও বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল। উপস্থিত ছিলেন সমস্ত বিধায়ক ও জেলা নেতারা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেবাংশু বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বর ডিসেম্বর করে হিঁচকি তুলে মরছে। একবার বলছে সরকার পড়বে। আরেকবার বলছে সব চেয়ে বড় চোর ধরা পড়বে। তার মানে শুভেন্দু অধিকারী জেলে যাবে ডিসেম্বরে। রাজ্যের সব থেকে বড় চোর তো শুভেন্দু। ওকে কাগজে জড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লালন পালন করে বড় করল। আর মায়ের পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল”।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, “কেন্দ্র সরকার প্রতি বছর তফসিলি জাতি উপজাতিদের জন্য সাতশো হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। কিন্তু সাত টাকাও খরচ করা হচ্ছে না। বিজেপিকে দেখে আপনারা ভয় পাবেন না। সংসদে আমাদের দেখে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। আমি বলতে শুরু করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা মাথা নামিয়ে থাকে”। তবে অনুব্রতর নাম মুখে আনেননি মহুয়া। বক্তব্যের শুরুতে না হলেও শেষে অনুব্রত মণ্ডলের নাম নিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুব্রতর দেখানো পথেই চলবে”। মিঠুনের নাম না নিয়ে শতাব্দী বলেন, “আমি সিনেমা আর্টিস্ট হলেও আপনাদের সাংসদ। আপনাদের অভাব অভিযোগের কিছুটা সমস্যার সমাধান করতে পারব। কিন্তু ওইদিন যে আর্টিস্ট এসেছিলেন তিনি আপনাদের কোনো দায় নেবে না। মনে রাখবেন চাহিদা মতো সব পাওয়া যায় না। কিন্তু যেটুকু পাচ্ছেন সেটা ভেবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেবেন”।