আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২০ ডিসেম্বর: কোতলপুরে যাওয়ার সময় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পথ আটকালো পুলিশ। এই নিয়ে সোমবার বিকেলে বাঁকুড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। আজ তিনি ৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বাঁকুড়ার কোতলপুরে আত্মঘাতী কৃষকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। আজ প্রথমে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী কৃষকের বাড়িতে যান, পরে কোতলপুরে যান।
ঘটনার ভিডিও যুক্ত করে তিনি টুইটারে লেখেন, “আবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ৫০০ কর্মী মমতার প্রশাসনের বেআইনি নির্দেশে আমাকে এবং রাজ্য বিজেপির অন্য ৬ বিধায়ককে বাঁকুড়ার
কোতুলপুরে বাধা দেয়। আলু চাষি তাপস কোটাল আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। আর্থিক সহায়তা দিতে আমরা তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
১৪৪ ধারা বা নিষেধাজ্ঞার আদেশ নেই। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে, যে রাজ্য প্রশাসন পুলিশকে কোনও আইনি ভিত্তি ছাড়াই আমার চলাচল সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে। মূর্খ পুলিশ অফিসাররা তাদের পদক্ষেপের আইনি পরিণতি বুঝতে পারছেন না। কারণ তারা একজন অন্যায়কারী ব্যক্তির মৌখিক নির্দেশ অনুসরণ করছে।“
It's becoming obvious, that @MamataOfficial has instructed @WBPolice to restrict my movement without any legal ground. The dim Police officers fail to understand that their action would have legal consequences as they are following verbal instructions of an injudicious person. pic.twitter.com/AZ6Ha4WqHO
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 20, 2021
টুইটারে যুক্ত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সামনে দাঁড়ানো পুলিশের ওপর ক্ষোভ দেখাচ্ছেন শুভেন্দুবাবু। তিনি প্রচারমাধ্যমকে বলেন, “আমার পথরোধ করার কোনও এক্তিয়ার ওঁদের নেই। কোনও ম্যাজিষ্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও অবস্থা, কোনও ১৪৪ ধারা নেই। কিন্তু তৃণমূলের নির্দেশে আমাকে আটকানো হচ্ছে। চেনে না আমাকে। আমি তিনবারের বিধায়ক, তিন বারের সাংসদ। ২০১১ সালের আগে আমি বিস্তীর্ণ এলাকার সিপিএম’কে শায়েস্তা করেছি। এরা এত নিচে নেমেছে যে মনে হচ্ছে ভাইপোর বাড়ি ‘শান্তিনিকেতন’ থেকে এর বেতন দেয়। কোনও লাজ-লজ্জা নেই।”
পরে রাজ্য বিজেপি’র তরফে প্রচারমাধ্যমকে জানানো হয়, “পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউনে ধানঝাটি গ্রামের চাষি ভোলানাথ বায়েন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আত্মহত্যা করেন। আজ তাঁর বড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে দেখা করে তাঁর স্ত্রীর হাতে দলের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্য তুলে দিলেন বিরোধী দলনেতা।“