আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর : আমি ভারতের সন্তান আমি বাংলার সন্তান। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই। এমনই বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। বীর বিপ্লবী শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর ১৩২ তম জন্ম দিবসে তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পুর্নাভা এবং মূর্তিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে তিনি হ্যামিল্টন হাইস্কুলে যান। হ্যামিল্টন স্কুলে থাকা ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন এবং সেখানে স্মৃতিচারণা করেন। স্মৃতিচারণার পর সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী জানান, নন্দীগ্রাম ও নেতাই আন্দোলনে তিনি ছিলেন, মানুষের হয়ে কাজ করেছেন। আগামী দিনেও কাজ করবেন তিনি।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু তমলুকের হ্যামিল্টন স্কুলে শিশু বিভাগে দু’বছর পড়াশোনা করেছেন। এই হ্যামিল্টন স্কুলে ক্ষুদিরামের ব্যবহৃত কাগজ পত্র ও হাতের লেখা এবং আরও অনেক কিছু সংরক্ষিত করা আছে দীর্ঘদিন থেকে। সেজন্য তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলে তিনি আগেও এসেছেন এবং আগামীদিনেও আসবেন।
আজকের এই সভা ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক।
এই স্মৃতিচারণায় সবাই আসার আগে হাসপাতাল মোড় থেকে পদযাত্রায় তিনি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে হেঁটেছেন এবং তার সঙ্গে থাকা অনুগামীদের গলায় ছিল ক্ষুদিরামের ছবি। পদযাত্রার সারা রাস্তায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি টাঙ্গানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও রকম স্লোগান বা লেখা ছিল না। এই মঞ্চ থেকেও তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কোনও কথাও বলেননি। এই অনুষ্ঠানটির পর তিনি সোজা গড়বেতা যান আরেকটি ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম বার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।