আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৩ জানুয়ারি: পাঁশকুড়ার মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগোপাল গ্রামে তারাপীঠ মন্দিরের আদলে গড়া তারা মায়ের মন্দির উদ্বোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর আসার রাস্তায় মানুষজনের উৎসাহ ছিল লক্ষ্য করার মতো। ফুল দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে অভ্যর্থনা জানায় উৎসুখ এলাকার মানুষজন। মাইসোরায় নিহত তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র দাদা আফজাল শা’র সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্দিরে ঢোকার আগে স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। মন্দিরে এসে তারা মায়ের সামনে আরতিও করেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের চকগোপাল গ্রামে তৈরী হয়েছে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরের আদলে দ্বিতীয় তারাপীঠের মন্দির। প্রায় ৬ একর জায়গার ওপর ৯০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই তারামায়ের মন্দির। ৫১টি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে দেবীদর্শন করতে। মাঠের মাঝে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে চকগোপাল গ্রামের বেশকিছু মানুষের বিশেষ আর্থিক সহায়তা সহ পার্শ্ববর্তী বেশকয়েকটি গ্রামের মানুষের বিশেষ সহযোগিতায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী হয়েছে তারাপীঠের আদলে তারামায়ের এই মন্দির।
এইদিন তারা মায়ের মন্দির উদ্বোধনের মঞ্চে দেখা গেল নিহত পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র দাদা আবজল শা’কেও।
এইদিন তারা মায়ের মন্দির উদ্বোধনে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী আছি ও থাকবো। ওনারা আমাকে উদ্বোধনের সময় ডেকে ছিলেন তাই আমি এসেছি। তারামায়ের মূর্তি দর্শন করলাম। আরতি করলাম। জনগণের টাকায় এই মন্দির নির্মিত হয়েছে। আমি একটা টাকাও দিইনি তবুও ফলকে আমার নাম আছে এইটাই আমার পরম প্রাপ্তি।