রাজেন রায়, কলকাতা, ২৩ নভেম্বর: দলে যথার্থ গুরুত্ব না পেয়ে শুভেন্দু অধিকারী যেমন নিজের মত চলতে শুরু করেছিলেন, ঠিক তেমনই তার কার্যকলাপ নিয়ে চিন্তায় ছিল ঘাসফুল শিবির। সেই কারণে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি জানতে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আরেক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে বলতে না চাইলেও দল যে তাকে ছাড়তে চায় না, তা বেরিয়ে আসার পর বক্তব্য রেখে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
সোমবার তৃণমূল ভবনে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়া প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সবটাই এড়িয়ে গিয়ে শুধু বলেন, ‘শুভেন্দু তৃণমূলের উজ্জ্বল মুখ।’ সৌগত রায়ের এ হেন বক্তব্যের মধ্যে অনেক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু পার্টির মধ্যেই আছে। তৃণমূলের উচ্চতর কমিটির মধ্যে আছে। রাজ্যের তিনটি দফতরের মন্ত্রী তিনি।’
যদিও শুভেন্দু অধিকারী অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেননি সৌগত। তাঁর কাছে শুভেন্দু সম্পর্কে স্পষ্ট জানতে চাওয়া হলে সৌগত বলেন, ‘শুভেন্দু নিয়ে পার্টি যা ভাবছে সেটা আমি ওকে বলব। আবার শুভেন্দু যা ভাবছে তাও আমি পার্টিকে জানাবো। আমি শুধু বলব আর শুনবো। কারু মধ্যেকার আলোচনার কথা আমি সংবাদমাধ্যমে কখনোই প্রকাশ করব না। এটা অনুচিত।’
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা খুলতে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার পথ খুঁজে বার করতে সোমবার দ্বিতীয় দফায় সৌগত রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বৈঠকেই শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ফয়সলা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
দলের অন্দরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুভেন্দু দল না ছাড়া পর্যন্ত তাঁকে বহিষ্কার করা হবে না। তবে শুভেন্দুকে বুঝিয়ে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চলাচ্ছে তৃণমূল। এদিনের বৈঠকে শুভেন্দুর ‘বক্তব্য’ কতটা মেনে নেওয়া সম্ভব তা তাঁকে জানাবেন সৌগতবাবু। দলে নিজের দায়িত্ববৃদ্ধি ও জেলা পর্যবেক্ষক পদ ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শুভেন্দু। সেই পদ ফেরানো সম্ভব কি না তাও দলের অন্দরে আলোচনার পর জানানো হতে পারে।