আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর: খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের পর পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী ঘর গোছানো শুরু করেছেন। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই প্রধান কারণ হিসেবে ধরে নিয়ে তিনি সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর অস্ত্র হিসেবে প্রথমে বেছে নেন খড়্গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনকে। সেখানে প্রদীপ সরকার ও দেবাশিস চৌধুরীদের গোষ্ঠী বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করে সফল হন তিনি। চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরে নেওয়া খড়্গপুর উপনির্বাচনে আশাতীত সাফল্য পান পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু খড়গপুর উপনির্বাচনের জয়ে
দুই জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে আত্মতুষ্টির গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি তা নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী রয়েছে একাধিক। দুই জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই বৈঠকে তিনি সামনের পুরসভা নির্বাচনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে একজোট হওয়ার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে তিনি খড়্গপুরের উপনির্বাচনে সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের এবং তার ফলে অর্জিত সাফল্যের উদাহরণকেই তুলে ধরেন। দুই জেলার নেতাদের গোষ্ঠী না করে সকলের মিলিত লড়াইয়ে ক্ষীরপাই চন্দ্রকোনা রামজীবনপুর মেদিনীপুর খড়গপুর ও ঝাড়গ্রাম পুরসভায় ভালো ফল করার পরামর্শ দেন। দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তিনি এদিন সংগঠনের নেতৃত্বে বেশকিছু রদবদল ঘটান।