আমাদের ভারত, ১১ সেপ্টেম্বর: কিছু দিন আগেই
উত্তর কোরিয়ার সরকার দাবি করেছে তাদের দেশে একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু মার্কিন সেনাবাহিনীর এক কমান্ডারের দাবি চিন থেকে কোনো ভাবে উত্তর কোরিয়ায় যাতে করোনা না ঢোকে তার জন্য দেখামাত্র গুলি করে মারার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত কাউকে দেখলেই গুলি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।
জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল তেমন ভালো না। ফলে অতিমারি মোকাবিলা করা সে দেশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। আর সেই জন্যই করোনা আক্রান্তদের নাকি হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানুয়ারিতে করোনা আটকাতে উত্তর কোরিয়া চিনের সীমান্ত সিল করে দিয়েছিল। সেদেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া জুলাইতে জানিয়েছে সর্তকতা সর্বোচ্চ সীমায় বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে ইউ এস ফোর্সের কোরিয়ার কমান্ডার রবার্ট আবারমাস জানিয়েছেন, চীনের সীমান্ত সিল করায় উত্তর কোরিয়ার চোরাকারবার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাধ্য হয়ে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। ওয়াশিংটনে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অনলাইন কনফারেন্সে আবারমাস বলেছেন, করোনা আটকাতে উত্তর কোরিয়া একটি নতুন বাফার জোন তৈরি করেছে। চিনের সীমান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার জায়গায় সেই বাফার জোনের মধ্যে পড়ে। সেখানে নর্থ কোরিয়ান স্পেশাল অপারেশন ফোর্স মোতায়েন আছে। আর তাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে, করোনা রোগীর
দেখামাত্র গুলি করা মারার।
সীমান্তে সিল করার ফলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। চিন থেকে সেদেশের আমদানি কমেছে প্রায় ৮৫ শতাংশ। পিয়ংইয়ংএর পরমাণু কর্মসূচিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে কিছুদিন আগে উত্তর কোরিয়াতে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন মায়াশাক। সেখানকার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল দুই হাজারের বেশি বাড়ি এই সাইক্লোনে ভেঙে পড়ে কিংবা জলে ডুবে গেছে।
ফলে সাইক্লোন করোনা একসাথে সামাল দেওয়া যথেষ্ট কঠিন সেদেশের সরকারের পক্ষে।