স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৪ মে: হেঁটে গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমণ। অবিশ্বাস্য হলেও একদম সত্যি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষার মধ্যেই চরৈবেতি মন্ত্র বুকে নিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পথে নেমেছে কেরলের যুবক শিবা কারিক্যল। বুধবার রায়গঞ্জের রাস্তায় দেখা মিললো তাঁর। পরিবেশ সচেতনতার বার্তা নিয়েই এই যুবক হেঁটে চলেছে অন্তহীন পথ।
দেশ-বিদেশে ভ্রমণের ইচ্ছা কম, বেশী সকলেরই রয়েছে। কিন্তু তাবলে হেঁটে গোটা ভারতবর্ষের অন্তরাত্মাকে জানতে চাওয়ার দুঃসাহস কজনেরই বা আছে! কিন্তু এই দুঃসাহস বুকে নিয়েই পথে নেমে পড়েছে যুবক শিবা কারিক্যল। তাঁর বাড়ি কেরল রাজ্যে। ফোটোগ্রাফির পাশাপাশি শিবা একজন পেশাদার ইউটিউবার। স্নাতক হওয়ার পরেই হেঁটে ভারত ভ্রমণের নেশা চেপে বসে তার মাথায়। পিঠে রুকস্যাক আর জাতীয় পতাকা নিয়ে কেরালা থেকে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। উত্তর- পূর্ব ভারতের রাজ্য ভ্রমন শেষে কলকাতা হয়ে মুম্বাই যাওয়ার পথে বুধবার রায়গঞ্জে এসে পৌঁছায় সে। ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকায় আধো ইংরাজী মেশানো কথায় যেটুকু জানা গেল তার কাছ থেকে তা হল গাড়ির জ্বালানী ব্যবহারে লাগাম টেনে পায়ে হাঁটুন। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুই ভালো থাকবে। এই বার্তাই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পথে নেমেছেন তিনি।
এদিন রায়গঞ্জে শিবাকে সম্বর্ধনা জানান পরিবেশ প্রেমীরা। ত্রিদীপ্ত ঘোষ নামে এক পরিবেশবিদ বলেন, “পরিবেশ সচেতনতার বার্তা নিয়ে শিবা ভারত ভ্রমন করছে পায়ে হেঁটে। এটা অবশ্যই দৃষ্টান্ত। এর ফলে পরিবেশ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে।” সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। মধ্যবিত্ত মানুষ যখন দশটা- পাঁচটা অফিস, অসাধ্য সাধ পূরণের লক্ষ্যে
উদ্দেশ্যহীন ভাবে ছুটে চলেছে, তখন তার বিপরীত স্রোতে গিয়ে এই যুবক জীবনের আসল সত্য খুঁজে পেতে ছুটে চলেছে ক্লান্তিহীন পথে। এর নামই হয়তো বেঁচে থাকা।