আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৫ মে: রহড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ছেলেকে হারানোর পর শেখ সাহিলের বাবা বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে কুড়িয়ে আনা কৌটো বোমাকে খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে সেই বোমা ফেটে মৃত্যু হয় ১৭ বছরের শেখ সাহিলের। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দোষীদের কাউকেই রহড়া থানার পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার অথবা আটক করা হয়নি। অভিযোগ, উল্টে মৃত শেখ সাহিলের পরিবার এবং তার বাবা শেখ আবুলকে মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের বার বার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে এই ব্যবসা অর্থাৎ বোমের ব্যবসা তারা কতদিন ধরে করে আসছেন? আর এই প্রশ্নের জেরে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন মৃত শেখ সাহিলের পরিবার। কে বা কারা কেন এই বোমা রেখেছিল তা এখনো জানা যায়নি, উল্টে মৃতের পরিবারের লোকজনকেই দোষী সাব্যস্ত করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিবারের একটাই বক্তব্য, যদি তারা বোমের ব্যবসা করতেন তাহলে কি কেউ নিজের বাড়িতে বোমের ব্যবসা করে? এবং যদি তারা এই ব্যবসা করতো তবে তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা কি এতটাই খারাপ থাকত? এই প্রশ্নই করা হচ্ছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে।
এদিন শেখ সাহিলের বাবা বলেন, “আমার ছেলে কলকাতায় কাজ করতো। কদিন বাড়িতে ছিল আর তার মধ্যে এসব ঘটে গেলো। আমি টোটো চালাই। আমাদের পুলিশ বলছে আমরা বোমের ব্যবসা করি। কিন্তু আমরা ওসব করলে আমাদের অবস্থা এতো খারাপ হতো কি। আমরা এর বিচার চাই।”
অপর দিকে গতকাল খড়দা রহড়া থানার অন্তর্গত রুইয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা শেখ সাহিলের বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্ত করতে আজ ভবানী ভবন থেকে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড আসে। তার সাথে ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছিল দমকল বাহিনীকে এবং বলরাম হাসপাতাল থেকে আনা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। এদিন এই তদন্তের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকার এবং এসিপি ঘোলা তন্ময় চ্যাটার্জি।তবে এদিন, তদন্তকারী অফিসররা আর বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ তদন্ত করে কোনো কিছু পায়নি বলে জানা যায়।