আমাদের ভারত,২৪ নভেম্বর:শনিবার সকালেই খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। আর পদ্মশিবিরের এই চালেই গেল গেল রব উঠেছে এনসিপি শিবসেনা কংগ্রেস জোট শিবিরে। শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন অজিত পাওয়ারের সিদ্ধান্ত একান্ত ব্যক্তিগত, দলের নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল বেলায় বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ কাকাড়ে দেখা করতে যান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। দেশের শীর্ষ আদালতে শিবসেনা এনসিপি কংগ্রেস জোটের দায়ের করা মামলার শুনানির আগে এই সাক্ষাত গিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
বিজেপি সাংসদ অবশ্য জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কারণেই তিনি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ দিনের বৈঠকে কাকাড়ে ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলে নএনসিপির আরেক নেতা জয়ন্ত পাটিল। যশনিবার অজিত পাওয়ারের জায়গায় পরিষদীয় নেতা হিসেবে জয়ন্ত পার্টিলকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
তবে শারদ পাওয়ারের পরিবারের সঙ্গে কাকাড়ের ঘনিষ্ঠতা বহুদিনের। আজিত পাওয়ার যে এনসিপি ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন সেই ইঙ্গিত নাকি কাকাড়েই দিয়েছিলেন প্রথম। মহারাষ্ট্রের ভোট পর্ব মেটার পরে বিজেপির তরফ থেকে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন এই কাকাড়েই। এই কাকাড়েই দাবি করেছিলেন শিবসেনার ৪৫জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। তারা জোট সরকার চান।
কিন্তু তারপর অনেক স্রোত বয়ে গেছে। একাধিক নাটকের পর শিবসেনা কংগ্রেস এনসিপি’র জোট নিশ্চিত। সরকার গঠনের কাজ যখন প্রায় শেষ তখন অজিত পাওয়ারের সহোযোগিতায় রাতারাতি খেলা ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেন ফড়নবিশ। তারপরেই এনসিপি সুপ্রিমো দাবি করেন তারাই সরকার গড়বেন। কিন্তু তারমধ্যে কাকাড়ে ও পাওয়ারের ব্যক্তিগত বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠাটাই স্বাভাবিক।