তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত কৃষ্ণনগরের শম্ভুনগর, আহত দু’পক্ষের ১৮

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১৭ আগস্ট:
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এবার উত্তপ্ত কৃষ্ণনগরের ১ নম্বর ব্লকের শম্ভু নগর। ধারল অস্ত্র দিয়ে কোপাকুপিতে দুই দলের আহত প্রায় ১৮ জন। একটা পুকুরের লিজ নিজে এই সংঘর্ষ বলে জানাগেছে।

দেরিতে পাওয়া স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপক্ষই ধারালো অস্ত্র এবং লাঠি দিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করে। দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায়।
কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কার্তিক ঘোষ জানিয়েছেন, তাদের দলের মোট ১২ জন শক্তি নগর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন শম্ভু নগর এলাকায় বেশ কিছুদিন আগে অসংখ্য বিজেপি সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেয়। ওই এলাকায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিজেপির দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে। আর তাতেই আমাদের ১২ জন কর্মী আহত হয়েছে। আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি মহিলারাও।

তবে নদিয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি আশুতোষ পাল জানান, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ৬ জন কর্মীর উপর আক্রমণ করেছে। তারা এখন কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরে ভর্তি। একুশের বিধানসভা ভোটকে লক্ষ্য রেখে তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের ভেতর ভয় ঢুকাতে চাইছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কার্তিক ঘোষের দাবি, আমাদের কর্মীরা কেউ আক্রমণ করেনি তারা আক্রমণ প্রতিহত করেছে মাত্র।
স্থানীয় সূত্রের খবর একটা পুকুরের লিজ নিয়ে দুইপক্ষের গন্ডগোল। খবর পেয়ে ছুটে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

পরদিন, শনিবার স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করে নতুন শম্ভুনগরে আহত তৃণমূল কর্মীদের সাথে দেখা করতে যান রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি এই ঘটনায় দলীয় কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে নদিয়া উত্তরের বিজেপি জেলার সভাপতি আশুতোষ পালও আহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সবমিলিয়ে ওই এলাকায় টানটান রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর দুই দলের মোটা ১৮ জন নয় দুই দলের আহতের সংখ্যা ১৪। তাদের মধ্যে তিন জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *