অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ২৯ ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার ‘আতঙ্কে’র সন্দেশখালিতে উৎসবের মেজাজ। তবে গলিতে-গলিতে শোনা যাচ্ছে, পুলিশের বুটের আওয়াজ। চলছে রুট মার্চ। গোটা রাজ্য যখন শাহজাহানের গ্রেফতারিতে উল্লসিত, ভিডিও-তে ওই ফেরারি অভিযুক্তকে না ধরার দায় পুলিশের আইনি সীমাবদ্ধতাও ইডি-র ওপরে চাপাতে ব্যস্ত রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকার। অচিরেই ‘খলনায়ক’-এর মত সমাজমাধ্যমে নেটনাগরিকদের তোপের মুখে পড়লেন তিনি। একটি নামী সংবাদচ্যানেলে এই ভিডিও পোস্ট করার ৪৬ মিনিট বাদে, বেলা দুটোয় পড়েছে ১০৭টি মন্তব্য। প্রায় সকলেই উজার করে দিয়েছেন নিন্দা-ক্রোধের ডালা।
অনিরুদ্ধ গড়াই লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে আপনার মতো পুলিশ থাকতে সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটেছে কেন? সেটা নিয়ে কিছু বলুন!” সুশান্ত দে লিখেছেন, “এই বঙ্গের মানুষ বুঝে গেছেন কেনো পুলিশ চুপ ছিল।” পদ্মনাভ সরকার লিখেছেন, “পুলিশের পোষাক পরা ক্রিমিনাল আছে কিছু।”
রুবেল দেবনাথ লিখেছেন, “উনি পার্টির নেতা না পুলিশ অফিসার!” দক্ষিতা কৃষ্ণান লিখেছেন, “আপনারা নিজেদের কর্তব্য আগে সঠিকভাবে পালন করুন তারপরে অন্যের বিচার করবেন।” অলোক বর্মণ লিখেছেন, “চটি চাটা আইপিএস অফিসার।”
অনুপম নাথ লিখেছেন, “যখন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে অ্যান্টি সিবিআই দল আর অ্যান্টি ইডি দল আছে, তো গ্রেফতার করবে কি করে? ভুলে গেছেন ২০১৯ এর ঘটনা যখন সিবিআই সারদা, রোজভ্যালি কাণ্ড নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে তদন্তর জন্য যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছিল, তখন আপনার পুলিশ কী কাণ্ড করেছিল? জোরপূর্বক গ্রেফতার। আর এখন, ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর কোনও পদক্ষেপ নেই। সব কিছুই কি দিদির আদেশে চলছে?”
পৃথা রায় সরকার লিখেছেন, “এনার মতো মানুষকেও এই লেভেলে তাঁবেদারি করতে হচ্ছে, দেখলে খারাপ লাগে।” রথীন বারুই লিখেছেন, “অনেকটা ঠিক পুলিশের মত দেখতে। কিন্তু পুলিশ না।” এস কে বিশ্বাস লিখেছেন, “হাইকোর্টের গুতো খেয়ে, আর অত্যাচারিতদের জনরোষের স্বীকার হয়ে মমতা সরকারের হতাশার অভিব্যাক্তি, তারপর আবার ১ মার্চে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে আসছেন, ধর্ষক শাহজানকে বাঁচাবার জন্য দিদিমণি চেষ্টার একটুও ত্রটি বাকি রাখেননি।”
অশোক শর্মা লিখেছেন, “সুপ্রতীমবাবু যদি আপনার বক্তব্য ঠিক থেকে থাকে তাহলে আগে সাংবাদিক সম্মেলন না করে বরঞ্চ উচ্চ আদালতে যান। আর সঠিক রায়ের কপিটা প্রকাশ্যে আনুন।” পিন্টু মন্ডল লিখেছেন, “এরা সমাজের সবথেকে বড় ক্রিমিনাল”।
পল্লব চক্রবর্তী লিখেছেন, “বিগত বারো বছর ধরে সন্দেশখালিতে জমি লুট হচ্ছে, জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে, রাতে মায়েদের পিঠে বানাতে ডাকা হচ্ছে, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে বলা হচ্ছে ওই অত্যাচারীদের সঙ্গে আপোষ করে মিটিয়ে নিতে। তাহলে স্থানীয় প্রশাসন এতদিন কী করছিলো? ইডির দিকে আঙ্গুল না তুলে নিজেদের দিকে তুলবার সময় কি এখনও আসেনি?”

