মেচেদায় ভ্যাট নির্মাণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পূর্ণাঙ্গ কার্যকরের দাবিতে শহিদ মাতঙ্গিনী বিডিও অফিসে ডেপুটেশন

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৪ মে:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার হল মেচেদা। সেখানে রয়েছে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, বড় মাছ ও পানের আড়ত, নার্সিং হোম প্রভৃতি। অথচ এখানে আবর্জনা ফেলানোর জন্য নেই কোনো ভ্যাট। তাই বাসিন্দারা আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হন মজে যাওয়া সেচ দপ্তরের মেচেদা- বাঁপুর খালে। যা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের মেচেদা সংলগ্ন ওভারব্রিজের কাছ থেকে বেরিয়েছে। কিছু সংখ্যক বাসিন্দা তাদের বাড়ির বর্জ্য ফেলে ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে। একদিকে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষণ, অন্যদিকে বাড়ির বর্জ্য জনিত দূষণ সব মিলিয়ে মেচেদা দূষণ নগরী হয়ে উঠেছে। ফলস্বরূপ এলাকার বাসিন্দারা সমস্ত ধরনের বর্জ্যজনিত দূষণে জেরবার হচ্ছে।

মেচেদা এলাকায় একটি ভ্যাট নির্মাণ করে বর্জ্য জমা করা এবং ওই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পূর্ণাঙ্গরূপে চালু সহ মেচেদা-বাঁপুর সেচ খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে ‘কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটি’। সেই আন্দোলনেরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে মিশন নির্মল বাংলার অর্থ তহবিল থেকে সলিড লিকুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট(SLWM) প্রকল্প গ্রহণ করে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি। সেইমতো বাসস্ট্যান্ড ও খাল সংলগ্ন স্থানে ওই প্রকল্পটি গত ২রা মে চালু হয়েছে। কার্যকরীভাবে চালু হবে ৮মে থেকে।

অতি সত্বর মেচেদায় একটি জলাধার নির্মাণ সহ এসএলডব্লিউএম প্রকল্পটি কার্যকর করা প্রভৃতি ছয় দফা দাবিতে আজ “কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটি”র পক্ষ থেকে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও অমিত কুমার গায়েন ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ হাজরার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, কমিটির পক্ষে নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, হেয়াতুল হোসেন, ডাঃ কালী শংকর পাত্র, সুদর্শন মেট্যা, সুব্রত দাস, জগন্নাথ মন্ডল প্রমুখ।

কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, অবিলম্বে জলাধার নির্মাণ করে মেচেদা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণ করে বর্জ্যজনিত দূষণ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *